ঢাকা, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ জৈষ্ঠ্য ১৪৩১, ৯ শাবান ১৪৪৬

জবি ছাত্রী হলে ৩৫০ টাকার তালা ৮০০ টাকায় বিক্রি!


প্রকাশ: ১৬ মে, ২০২২ ২০:৩৫ অপরাহ্ন


জবি ছাত্রী হলে ৩৫০ টাকার তালা ৮০০ টাকায় বিক্রি!

রকি আহমেদ : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে প্রতি রুমের তালা ফ্রিতে দেয়া হলেও চাবি বাবদ ৮০০ টাকা নিচ্ছে হল কর্তৃপক্ষ। পরোক্ষভাবে তালা বাবদ ৮০০ টাকা নেয়ার পর চাবির দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৮ টি চাবির একই তালা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তালা-চাবি বাবদ দ্বিগুণ টাকা নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হলের শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, ১৬ তলা বিশিষ্ট হলটিতে কক্ষ আছে ১৫৬টি। প্রতি রুমে ৮ জন করে শিক্ষার্থী থাকেন। একটি রুমে একটি করে তালা ফ্রিতে দেয়া হলেও রুমের ৮ জনের চাবির জন্য হল কর্তৃপক্ষকে ৮০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। অর্থাৎ চাবির জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। কিন্তু আলিফ প্রিমিয়ারের এই তালাটি ৮ চাবিসহ বাজারে ৩৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির পাশে রায়সাহেব বাজার মোড়ে লাকি স্ক্রুসহ পাশের দোকান গুলোতে ৮টি চাবিসহ একই তালা ৩৫০ টাকা ও ১২ টি চাবিসহ একই তালা ৪২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এই অতিরিক্ত দামে তালা-চাবি বাবদ টাকা নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হলের শিক্ষার্থীরা।

এবিষয়ে হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরাও বাজার থেকে শুনেছি, তালার দাম এতো টাকা না। এক তালায় দ্বিগুণ টাকা নিচ্ছে। এখানেও লাভ করছে। আমাদের বলা হচ্ছে, রুমে তালা ফ্রি, তবে চাবি ১০০ টাকা করে। রুম প্রতি ৮০০ টাকা নিলে তালা ফ্রি বলা অদ্ভুত ব্যাপার। এক ধরণের বাটপারি এটা। শিক্ষার্থীদের ভর্তুকি দেয়ার বদলে আরও লাভ করছে তালা-চাবি বিক্রি করে।

ওই হলের আবাসিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিনিয়া আফ্রিন বলেন, তালা-চাবির দাম তো এতো টাকা না। হল কর্তৃপক্ষ বলছে তালা ফ্রি। তবে চাবি বাবদ রুমের ৮ জনের কাছে ৮০০ টাকা নিচ্ছে। তালার সাথে তো চাবি এমনিতেই দেয়। এছাড়া চাবি বানাতে গেলে তো এতো টাকা লাগে না। তাই এতো টাকা নেয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এই বিষয়ে আমি হল প্রভোস্টের সাথে কথা বলব। এছাড়া ক্যান্টিন পরিস্কার করা, হলে মেয়েদের গ্যাস চালুর বিষয়ে আমি উনার সাথে কথা বলব। মেয়েদের সমস্যা যেন দ্রুত সমাধান করা যায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।

এবিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষক ড. শরাবান তোহুরা জানান, তালা-চাবি ক্রয় ও বন্ঠনের জন্য একটি আহবায়ক কমিটি আছে। সেটির আহবায়ক আবাসিক শিক্ষক প্রতিভা ম্যাম। আমি এই কমিটিতে ছিলাম না। তাই কিভাবে বন্টন হলো, কতো টাকা নেয়া হলো আমি জানি না।

হলের আবাসিক শিক্ষক ও তালা-চাবি বন্টন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।এছাড়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগমের কাছেও একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।


   আরও সংবাদ

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: fwrite(): write of 34 bytes failed with errno=122 Disk quota exceeded

Filename: drivers/Session_files_driver.php

Line Number: 263

Backtrace:

A PHP Error was encountered

Severity: Warning

Message: session_write_close(): Failed to write session data using user defined save handler. (session.save_path: /var/cpanel/php/sessions/alt-php56)

Filename: Unknown

Line Number: 0

Backtrace: