প্রকাশ: ১২ জানুয়ারী, ২০২৩ ২৩:২২ অপরাহ্ন
আব্দুল হামিদ: মিনহাজুর রহমান ফাহিম (২৩)। লক্ষীপুর সদরের আবু তৈয়ব রাফি উদ্দীনের চার ছেলে-মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ফাহিম। সবার স্বপ্ন ইউরোপের ও আমেরিকার দেশ হলেও ফাহিমের স্বপ্ন ছিল তুরস্ক যাবার। ফাহিমের ভাষ্য, অন্য দেশের চেয়ে তুরস্ক সুযোগ-সুবিধা ভালো। আর সবার তো একই দেশ ভালো নাও লাগতে পারে। এই জার্নিতে তার চোখের সামনের অনেক লোককেই টাকার জন্য জীবন হারাতে হয়েছে দালালদের হাতে। লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে নদীতে। কিন্তু বাঙালি হয়ে বাঙালির সঙ্গে এ ব্যবহার করতে পারে তার ভাবনার বাইরে ছিলো। বাংলাদেশ থেকে বিমানে তুরস্কের দূরাত্ব খুব বেশি না হলেও তার লেগেছে তিন মাস। আর দেশে ফিরতে লেগেছে এক বছর দুই মাস। এই সময়ের তার দূভির্ষ জার্নির কথা শুনালেন বাংলা ট্রিবিউনকে।
গত ২০২১ সালের মার্চ মাসে তুরস্ক যাওয়ার জন্য পাশের গ্রামের শাহাদত হোসের সঙ্গে কথা হয়। তার মাধ্যমে পরিচয় হয় গ্রীস প্রবাসি আলী হোসেনের সঙ্গে। পরিচয়ের পরের মাসেই ৩ এপ্রিল দুবাই ফ্লাইট বলে জানান হয় তার। করোনা মহামারির মধ্যে ফাহিম দেশের সীমানা পাড়ি দিতে পারলেও লিবিয়িা থেকে ইরান হয়ে তুরস্কে আর যেতে পারেনি। আর শেষ সময়ে যাও তুরস্ক পৌঁছায়। কিন্তু অসুস্থতা আর পরিবারের কান্নায় দূর্তাবাসের বিশেষ সহযোগিতায় দেশে ফিরে আসতে হয় তার।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে মিনহাজুর রহমান ফাহিমের কথা হয়। তার দেওয়া, তথ্যে গাঁ শিহরে ওঠার মতো। প্রবাসে যেতে কত যুদ্ধই না করতে হয়েছে। কিন্তু শেষ বিজয় ধরে রাখতে পারেনি ফাহিম। তিনি বলেন, দালালের সঙ্গে কথা হয় ভিসা দিয়ে সরাসরি ফ্লাইটে তুরস্ক নিয়ে যাবেন। কিন্তু ভিজিট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে পৌছানোর পরে পাসর্পোট ও সঙ্গে থাকা ডলার নিয়ে নেয় চক্রের সদস্যরা। যেই পাসর্পোট এখনও পায়নি ভুক্তভোগী ফাহিম।
মিনহাজুর রহমান ফাহিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, করোনার মধ্যে ফ্লাইটের কথা বলে ঢাকায় আনে। ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল রাতে রাজধানীর মহাখালী একটি আবাসিক হোটেলে থাকি। পরে দালাল চক্রের সদস্য শাহাদাত হোসেনকে বললে তিনি সকালে ভাটারা নতুন বাজার এলাকায় তার ছোট ভাইয়ের বাসায় গিয়ে থাকতে বলেন। এ সময় আলী হোসেন ও হান্নানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। তাদের কথা মতো ১০ এপ্রিল করোনা টেস্ট করিয়ে বিমানবন্দর এলাকায় এসে একটি হোটেলে অবস্থান করি। তার দুদিন পরে ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় দুবাই ফ্লাইট হয় আমিসহ আরও তিনজনের।
ফাহিমের ভাষ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত-দুবাই শারজাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছালে মানবপাচার চক্রের সদস্য আব্দুল হান্নান সবাইকে রিসিভ করে নিয়ে যান রেস্টুরেন্টে। সেখানে সকালের নাস্তা শেষ সবার কাছ থেকে পাসর্পোট ও ডলার নিয়ে নেন। এসময় আমার কাছে থাকা ৬০০ ডলার নিয়ে যায়। আর ব্যাংকে টাকা দিতে বলে। পরে আলী হোসেনের স্ত্রী রাশিয়ার হিসাব নম্বরে টাকা পাঠায়। নাস্তা শেষ রেস্টুরেন্টের পাশেই একটি বাসায় (সেভ রুম) রাখে। ওখানে দুই রুমে আমরা ৩৫ জন খুব কষ্ট করে থাকতাম।
প্রতিদিন একবার করে হান্নান এসে দেখে যেত। ফ্লাইটের কথা জানতে চাইলে বলত, ২/১ দিনের মধ্যে হয়ে যাবে। এভাবে পাঁচ দিন কেটে যায়। ১৭ এপ্রিল সেভ রুম থেকে নিয়ে আসে এবং সিলেট থেকে যাওয়া তিনজন লোকসহ আমাকে (ফাহিম) একটি প্রাইভেটকার নিয়ে গিয়ে একটি নির্জন স্থানে নামিয়ে দেয়। সেখানে থাকা ৩-৪ লোকের সঙ্গে বেশ সময় কথা বলে হান্নান। তারা দুবাই ও ইরানের লোক ছিল বলে কথা শুনে মনে হয়েছে। পরে সেখানে তাদের কাছে আমাদের চারজনকে দিয়ে আসে। তারা একটি গাড়িতে তুলে আমাদের নিয়ে দুবাইয়ের নৌ-বন্দরের মধ্যে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে ৫৩ জনকে একটি ছোট মাছ ধরা টলারে তুলে দেয়। টলারটি বন্দর থেকে বেশি গভীরে সাগরের মধ্যে সারাদিন রাখে। সন্ধার পরে টলার চলতে শুরু করে। আমাদের নিয়ে টানা প্রায় ৪০ ঘণ্টা চলার পরে ১৩/১৪ জনের গ্রুপ করে চারটি স্পিড বোর্ডে তুলে ৬ ঘণ্টা চালার পরে ইরানের সীমান্তে নামিয়ে দেয়।
এই ভুক্তভোগী বলেন, সাগর পথের প্রায় ৫০ ঘণ্টার জার্নির সময় যখনই আকাশে ইরানি সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর টহলরত কোনো হেলিকাপ্টর দেখেছে, তখনই আমাদের কোম্বলের নিচে লুকিয়ে রেখেছে দালালরা। হেলিকাপ্টর চলে গেলে আবার কম্বল সরিয়ে দিত। ইরানের সীমান্তের কাছাকাছি সাগরের মধ্যে সবাইকে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে সাঁত্রিয়ে ইরানের সীমান্তে উঠি। পাঁচটি প্রাইভেটকারে করে তুলে নিয়ে ইরানি বন্দর আব্বাসের পাশে একটি সেভরুমে রাখে।
ফাহিমের ভাষ্য, সেখানেই মূলত চলে টাকা আদায়ের টর্চার। ওই রুমে আটকে রেখে দফায় দফায় সবার থেকে টাকা আদায় করা হয়। হান্নান ও আলীর কথায় তার স্ত্রী রাশিয়া বেগমের হিসাব নম্বরে আবার টাকা পাঠায়। পরে টাকার জন্য এক ইরানী অনেক মারধর করে। সহ্য করতে না পেরে ইরানির কাছে মাফ চায়, আর হান্নানের সঙ্গে কথা বলার পরে আমাকে মারা বন্ধ করে। কিন্তু সেখানে ইরানি দালালরা বিভিন্ন দেশে থেকে পাচারের শিকার হয়ে আসাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করত। তারা এতো নিষ্ঠুর যে, মাফ আর কান্নাকাটি কিছুই তাদের টলাতে পারে না। একমাত্র দালালদের কথা ছাড়া। সেখানে টাকা দিয়েও কেউকে রক্ষা হত না। ওই সময় সেভ রুমে দেখেছি টাকার জন্য অনেকের হাত-পায়ের নখ পর্যন্ত উঠিয়ে ফেলছে। এছাড়া সেভরুমের অবস্থা দেখতে আলী ও হান্নান প্রতিদিন ভিডিও কল করত। এরমধ্যে কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসা দিতো না। মারা গেলে লাশ ফেলে দিতো পাশের ডোবায়।
তিনি বলেন, খুবই কষ্টে সেভরুম থেকে তিনদিন পরে ছাড়া পায়। সেখান থেকে তেহরানের উদ্দেশ্যে আমিসহ পাঁচ-ছয় জনকে একটি বাড়ির কাছে নামিয়ে উঠ ও ভেড়ার খামারের মধ্যে বসিয়ে রাখে। সেখানে গিয়ে পাঁচজন আফগান যুবকের সঙ্গে দেখা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তারাও আমাদের মত একই ভাগ্য নিয়ে এসেছে। সেখানে দালাল চক্রের সদস্যরা সবার থেকে ম্যানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে নেন। ওইদিন সন্ধ্যায় ১০-১১ জন উঠের খামার থেকে বের করে গাড়িতে তুলে নেয়। ঘণ্টা তিনেক গাড়ি চলার পরে একটি বাড়িতে নিয়ে রাতে সেখানে রাখে। সকালে তিনটি মোটরসাইকেলে করে নিয়ে গিয়ে আরেকটি গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। তারা কিছুদূর যাবার পরে মরুভমির মধ্যে নামিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তা দেখিয়ে বলে সামনে গেলে তাদের লোক পাওয়া যাবে। তারা বলে দেয় টহল হেলিকাপ্টর দেখলে পাহাড়ে আড়ালে বা আশপাশে লুকিয়ে যেতে, না হলে হেলিকাপ্টর থেকে গুলি ছুড়বে ইরানি গার্ডেরা।
তিন ঘণ্টা হেটে দালালদের কাছে পৌঁছায়ে দেখি সেখানে নারী-শিশুসহ একশত’র মত লোক অপেক্ষা করছে। সবাইকে তুরস্কে পাঠানো হবে। সেখানে না খাওয়া সারাদিন কেটে গেল। সেখান থেকে হাঁটা শুরু করি, বেশ কিছু দূর যাবার পরে ছয়টি গাড়িতে সবাইকে তুলে নেওয়া হয়। পরে একটি চেপোস্টের কাছে নামিয়ে আবার হাঁটাতে থাকে। এরমধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে বেধম মারপিট করে দালালরা। যেন দেহে প্রাণ থাকা পর্যন্ত কারোর কোনো রক্ষা নেই। সাবাইকে হাঁটতে হয়।
দূর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে ১২-১৪ ঘণ্টা পরে তেহরান পৌছায়। সারাদিন না খাওয়া, প্রচুর অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে এ অবস্থায় হান্নান আমাকে তার তেহরানের এজেন্ট মিজাদুলের কাছে পাঠায় দেয়। মিজাদুল তেহরানে থাকে, সে আমার হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়। পরে আমি তাকে আমার অবস্থা সব বললাম, অনুরোধ করলাম বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া জন্য। ওই সময় মিজাদুলের বাসায় আলী হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন সঙ্গে আমার দেখা হয়। কিন্তু সে আমার এড়িয়ে যায়। পরে আমি দালাল আলী হোসেন ও আব্দুল হান্নানকে ফোন করে আমার শরীরের অবস্থা বলি। তাদেরও অনুরোধ করি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা বলে এখান থেকে বাংলাদেশে ফেরার কোনো পথ নেই। হয় তোমাকে তুরস্ক পৌঁছাতে হবে, না হয় এখানেই মরতে হবে। তবে তুরস্ক পৌঁছাতে পারলেই সেখান থেকে সহজে দেশে ফিরতে পারবা। এছাড়া সেখানে চিকিৎসাও নিতে পারবা।
আমার সঙ্গে এরপর থেকে আলী হোসেন ফোনে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। সেখানে ২০-২৫ দিন থাকার পরে মিজাদুলকে বাড়তি টাকা দিয়ে বর্ডার পার করে দিতে অনুরোধ করি। পরে সে তেহরান থেকে তুর্কি বর্ডারে পাঠায়। এবং বলে দেয় অনেক কষ্টে বর্ডার পার হতে হবে। নামিয়ে দেওয়ার স্থান থেকে ৫ ঘণ্টার পথ হেঁটে যেতে হয়। এরমধ্যে ছোট-বড় পাহাড় পাড়ি দিতে হয়েছে। ওই সময় আমি একবার পাহাড় থেকে পড়ে যায়। সঙ্গে থাকা এক আফগানি আমার ধরে তুলেন। পরে তার কাঁধে ভর করে তুর্কি সীমান্তের কাছে আসি। পরে আমার অবস্থা আরও খারাপ হওয়া তার পক্ষে কাঁধে করে নেওয়া সম্ভব হচ্ছি না। সেখান থেকে ঘোড়ার পিঠে করে সন্ধ্যায় তুর্কি বর্ডারের কাছে একটি মাটির গর্তের মধ্যে সারারাত লুকিয়ে রাখে। সকালে মাটির গর্ত থেকে বের করে পাশের শহরে নিয়ে যায়, সেখানে দালালের ছেলে সাব্বির হোসেন আমার মতো আরও ৩০জন নারী-পুরুষকে বর্ডার পার করে দেওয়ার জন্য আগেই নিয়ে এসে রেখেছে।
ওই রাতে ইরানি পুলিশ বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় দালাল (সাব্বির) সহ সবাই পালিয়ে যায়। আমরা যে যার মতো পারছি জঙ্গলে পালিয়েছি। পুলিশ চলে যাওয়ার পরে সাব্বির ও তার সঙ্গীরা এসে সবাইকে জঙ্গল থেকে খুঁজে বের করেন। পরে ওই রাতেই তুরস্কের উদ্দেশ্যে একটি গাড়িতে করে সবাইকে নিয়ে যাত্রা শুরু করলো দালালরা। অবশেষে একেবারে তুর্কি সীমান্ত এত পরি। শুধু একটি নদী পার হলেই তুরস্ক। আমাদের সবার একটি জাহাজে ওই নদী পার করা হয়। নদী পার হয়ে ১৪ ঘণ্টার পথ হেঁটে তুরস্কের একটি শহরে পৌঁছায়। সেখান থেকে আরেক শহরে নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের পাঁচজনকে পুলিশ ধাওয়া করে। পরে পাশের একটি জলডুবাই লাফ দেয়। সেখানে ঘণ্টাখানেক পানির মধ্যে থাকার পরে পুলিশ চলে যায়। উঠে মিজাদুলকে ফোন করলে গাড়ি পাঠিয়ে আমাদের নিয়ে যায় একটি হোটলে। সেখানে থেকেই আমি তুর্কি বাংলাদেশ দূর্তাবাসে যোগাযোগ করতে থাকি।
ফাহিমের ভাষ্য তুর্কি বাংলাদেশ দূর্তাবাস থেকে জানানো হয়, দেশে ফিরতে হলে দূর্তাবাসে এসে কাগজপত্র জমা দিতে হবে। পরে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে আলীরে ছেলে সাব্বির হোসেনের সঙ্গে ইস্তানবুলের উদ্দেশ্যে বের হয়। আঙ্কারা শহর পার হয়ে ইস্তানবুল শহরে প্রবেশের আগেই চেকপোস্টে পুলিশের কাছে ধরা পরে যায়। পরে ১১দিন জেল খেটে ২০২১ সালের ৪ জুন ছাড়া পেয়ে ইস্তানবুলে আমার পরিচিত একজনের কাছে গিয়ে উঠি। এরমধ্যে আলী হোসেন অনেকবার ফোন করে তার লোকদের কাছে যেতে বলে। কিন্তু আমি আর সেখানে জায়নি। এই সময়ে ২৩ জুন আমি বাংলাদেশ দূর্তাবাসে গিয়ে দেখা করে কাগজপত্র জমা দেয়। তারা জানান, কাগজপত্র তদন্ত করে দেশে যাওয়ার জন্য আউটপাস দেওয়া হবে। ১০ মাস পর বাংলাদেশ দূর্তাবাস থেকে আমাকে আউটপাস দেওয়া হয়। পরে ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল তুরস্ক থেকে দেশে ফিরে আসি। এই জার্নির কথা মনে করলে এখনও রাতে ঘুমাতে পারি না। তবে সুভাগ্য এতটুকুই যে, জীবন নিয়ে দেশে ফিরতে পেরেছি। এই যাত্রায় অনেককেই দেখেছি স্বপ্ন নিয়ে ডুবে যেতে!
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) নজরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এই চক্রের সদস্য শাহাদাত হোসেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাধারণ মানুষদের সংগ্রহ করে। পরে সেসব যাত্রীদের ঢাকায় বাকি কাজ শেষ করেন আব্দুস সালাম নামে ওই চক্রের আরেক সদস্য। আর দেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের রিসিভ করে দুবাইয়ে থাকা আব্দুল হান্নান। তবে চক্রের প্রধান গ্রীস প্রবাসি আবুল হোসেন ও ইরান প্রবাসি তার ছেলে সাব্বির হোসেন। আর মানবপাচারের এই সব টাকা আসে আলী হোসেনের স্ত্রী রাশিয়া বেগমের হিসাব নম্বরে। ইতোমধ্যে দেশে অবস্থান করা ওই নারীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। রিমান্ড শেষে বর্তমানে জেলে আছেন তিনি। আর বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।