Severity: Warning
Message: mysqli::real_connect(): Headers and client library minor version mismatch. Headers:100324 Library:30120
Filename: mysqli/mysqli_driver.php
Line Number: 201
Backtrace:
File: /home/bnnews24/public_html/application/controllers/SS_shilpi.php
Line: 6
Function: __construct
File: /home/bnnews24/public_html/index.php
Line: 316
Function: require_once
প্রকাশ: ২৫ জুন, ২০২২ ১২:০৮ অপরাহ্ন
সাকিবুল হাসান: দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকার নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ছিল মানুষের লালিত স্বপ্ন। প্রায় ১৯ জেলার মানুষের যাতায়াত হয় এ মাওয়া ঘাট দিয়ে। অনেক সময় লঞ্চ ডুবে অনেক প্রাণহানী ঘটে। দুই ঈদে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় ঘাটে, এর ফলে অনেক রোগীর ভোগান্তি হয়। এমনকি অনেক রোগী মারাও যায় ঘাটের জ্যামে পড়ে।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো গ্যাস আদান- প্রদান করার অভাবে দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প কলকারখানা গড়ে ওঠে না। ফলে এই অঞ্চলের উন্নয়নে বড় বাধার সম্মুখীন হয়। মানুষ বছরের পর বছর ভাবতো কবে যে তারা এই ভয়াবহ বিপদ থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু সেই ভাবনা আজ সত্যি হয়েছে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে। এ স্বপ্ন আজ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় তিন কোটি মানুষের। আর এটি বাস্তবায়ন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রথম স্বপ্ন দেখে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার (১৯৯৬-৯৯)। পরবর্তীতে পদ্মা সেতু নিয়ে দেশে- বিদেশে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা প্রবাহের পর ২০১১ সালে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নিজস্ব অর্থায়নের পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে পদ্মা সেতু আজ স্বপ্ন নয় আজ বাস্তব। বঙ্গবন্ধু যা বলতেন তিনি তাই করতে প্রাণপন চেষ্টা করতেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা তিনিও এক অদম্য ও অসমসাহসী নারী।
তিনি সমস্ত অপরাজনীতি রুখে দিয়ে সত্যের জয়োগান গেয়েছেন। তাঁর সত্য আজ কথা বলে পদ্মা সেতুতে। তাঁর সত্য আজ কথা বলে দেশি- বিদেশির কথনে। তাঁর সত্য আজ কথা বলে উন্নয়নে উন্নয়নে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একজন অসমসাহসী। তিনি আরো বলেছেন যে,আমার সন্দেহ হয়, তিনি(শেখ হাসিনা) যা করেছেন, তা একটি দেশের সাধারণ কোনো নেতার পক্ষে করা সম্ভব হতো কি না। সত্যিই আমি সন্দেহ করি। তিনি আরো বলেন চীনের পক্ষেও এ চ্যালেন্জ গ্রহন করা ছিল একটি সাহসী পদক্ষেপ।
বাংলাদেশের যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মাইলফলক হিসেবে সংযোজিত পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ হবে ৬.১৫ কিমি. এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু। কিছু রাজনৈতিক নেতা প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে যে পদ্মা সেতুর ব্যয় কেন এতো বেশি। তারা বিভিন্ন সেতুর সাথে তুলনা করছে পদ্মা সেতুর সাথে। কথায় আছে 'কই আনার কলি আর কই জুতার কালি।' কাজ না থাকলে মানুষের ফুসকুড়ি গণনা করা কিছু লোকের স্বভাব থাকে। আজ শেখ হাসিনার উন্নয়নে তাদের চোখে কাটা বিঁধে। আজ তাদের গা জলে-পুড়ে ছারখার। তাদের গায়ে পানি দিতে হবে ঠান্ডা করার জন্য।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন ঠিকই বলেছিলেন, যে তাদের পদ্মা সেতুর উপর থেকে নদীতে চুবুনি দিয়ে উঠানো উচিত তাহলে মাথা ঠান্ডা হতে পারে মাননীয় বিশ্লেষকদের। আমি সবাইকে আহবান জানাবো আসুন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই, বিশ্ব মানচিত্রে স্বদেশকে উঁচু করে ধরি। বাংলাদেশ একটাই সুতরাং এদেশ আমার-আপনার এদেশ রক্ষা করার দ্বায়িত্ব আমার- আপনার। দেশ এগোচ্ছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। তাই আসুন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি,পদ্মা সেতুর মত বৃহত্তর প্রকল্প গুলোর বাস্তবায়ন সফল হোক দেশ এগিয়ে যাক। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
মোঃ সাকিবুল হাসান
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ
সভাপতি, যশোর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ,জবি।