A PHP Error was encountered

Severity: Warning

Message: mysqli::real_connect(): Headers and client library minor version mismatch. Headers:100324 Library:30120

Filename: mysqli/mysqli_driver.php

Line Number: 201

Backtrace:

File: /home/bnnews24/public_html/application/controllers/SS_shilpi.php
Line: 6
Function: __construct

File: /home/bnnews24/public_html/index.php
Line: 316
Function: require_once

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী'তে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়
ঢাকা, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ শ্রাবণ ১৪২৯, ৩ রমজান ১৪৪৪

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী'তে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়


প্রকাশ: ২৭ মার্চ, ২০২১ ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন


স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী'তে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়

কূটনৈতিক প্রতিবেদক : বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছে এবং উন্নয়নের বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আবহে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যে একথা বলেন জাতিসংঘের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবর্গ। 

আজ শনিবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ, সদস্য রাষ্ট্রসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতবৃন্দ, জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক বিদেশী কূটনীতিকের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান কোভিড-১৯ জনিত কারণে ভার্চুয়ালভাবে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটির মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পর্ব ও র‌্যাফেল ড্র গোটা আয়োজনে একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।

স্বাগত ভাষণে বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শন পূর্বক বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, তাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বহু কাঙ্খিত স্বাধীনতা। 

১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষণের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, এই ভাষণই পরবর্তীতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির গতিপথ নির্ধারণ করেছিল। ভাষণটিতে জাতিসংঘকে মানুষের সকল ভবিষ্যত আশা-আকাঙ্খা, নির্ভরতা ও বিশ্বাসের কেন্দ্রস্থল হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, অগ্রমূখী উন্নয়ন কৌশলের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ যুদ্ধব্বিস্থ, দারিদ্রপীড়িত, একটি দেশ থেকে বিশ্বের দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতির একটি দেশে উন্নীত হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিডিপি বাংলাদেশকে চুড়ান্তভাবে এলডিসি ক্যাটেগরি থেকে উত্তরণের অনুমোদন দিয়েছে। 

স্বাধীনতার ৫০ বছরে এই অর্জনের মাধ্যমে সমগ্র জাতির বহুদিনের কাঙ্খিত স্বপ্ন পূর্ণ হলো”। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি জ্ঞানভিত্তিক, উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ যে বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধন করেছে তা প্রদত্ত ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ। বিশেষকরে সামাজিক উন্নয়ন, দূর্যোগ প্রস্তুতি ও মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন মহাসচিব। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অমূল্য অবদানের কথা তুলে ধরেন গুতেরেজ। 

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় প্রদান এবং ক্লাইমেট ভারণারেবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, “আমরা জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সবসময়ই বাংলাদেশের পাশে আছি”।

বহুপাক্ষিকতাবাদ, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, শান্তির সংস্কৃতি এজেন্ডা, এবং মানবিকতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসামান্য অবদানের কথা প্রদত্ত বক্তব্যে তুলে ধরেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকান বজকির। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দানের জন্য তিনিও বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন। 

এছাড়া এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের কথাও উল্লেখ করেন সাধারণ পরিষদ সভাপতি। এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের “সমগ্র-সমাজ দৃষ্টিভঙ্গি” এবং ‘পূনবায় আগের চেয়েও ভালো অবস্থায় ফিরে যাওয়ার’ লক্ষ্য নিয়ে কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধার কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পদক্ষেপের উচ্চকিত প্রশংসা করেন ভলকান বজকির।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মরক্কো, আয়ারল্যান্ড, বারবাডোস, ব্রুনেই দারুসসালাম, ওমান, সিয়েরা লিওন, জাপান, ভারত ও সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ। বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক এবং ইউএনডিপির প্রশাসক। বক্তাগণ বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য এর জনগণ এবং নেতৃত্বকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। নারীর ক্ষমতায়ন, শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবিকতা প্রদর্শনসহ সমসাময়িক আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও অবদানের প্রশংসা করেন বক্তাগণ।

এর আগে সকালে, জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সকালের পর্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজান করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। 

এছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের ভিডিও বার্তাও পরিবেশন করা হয় সকালের পর্বে। কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় উন্মুক্ত আলোচনা পর্ব। সকালের অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।


   আরও সংবাদ