A PHP Error was encountered

Severity: Warning

Message: mysqli::real_connect(): Headers and client library minor version mismatch. Headers:100324 Library:30120

Filename: mysqli/mysqli_driver.php

Line Number: 201

Backtrace:

File: /home/bnnews24/public_html/application/controllers/SS_shilpi.php
Line: 6
Function: __construct

File: /home/bnnews24/public_html/index.php
Line: 316
Function: require_once

মেয়েকে মেরে মাটিতে পুঁতে রাখেন সৎবাবা
ঢাকা, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ শ্রাবণ ১৪২৯, ৩ রমজান ১৪৪৪

মেয়েকে মেরে মাটিতে পুঁতে রাখেন সৎবাবা


প্রকাশ: ২৬ জুন, ২০২২ ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন


মেয়েকে মেরে মাটিতে পুঁতে রাখেন সৎবাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রস্তাবিত তিব্বত কারখানার সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে মাটিচাপা অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় কিশোরীর লাশ উদ্ধার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। ওই কিশোরীর নাম মিনু আক্তার (১৬)। টাকা না দেওয়ায় সৎমেয়ে মিনু আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মাটিতে পুঁতে রাখেন বাবা শফিকুল ইসলাম। এই ঘটনায় সৎবাবাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার জামিরদিয়া গ্রামে ওই কারখানার সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে ছোট দুচালা ঘরের পাশে দুই হাঁটু বের হওয়া মাটিচাপা অবস্থায় ওই কিশোরীর লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে অর্ধউলঙ্গ অবস্থায় ওই কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

থানা সূত্র জানায়, গত শুক্রবার রাতে পুলিশের টিম কুড়িগ্রাম থেকে শফিকুলকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে টাকা না দেওয়ায় তিনি তার সৎমেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ওইদিন বিকেলেই পুলিশ তাকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিলে তার জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার সৎমেয়েকে হত্যার ঘটনায় তার সঙ্গে জড়িত আরেকজনের নাম প্রকাশ করেন তিনি। পুলিশ শনিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে উপজেলার জমিরদিয়া এলাকা থেকে অপর আসামি রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। রিপনকে পুলিশ রোববার (২৬ জুন) বিকেলে আদালতে প্রেরণ করে।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ‘শফিকুলের বাড়ি কুড়িগ্রামে। তবে তিনি ভালুকার জামিরদিয়া এলাকায় বসবাস করতেন। কয়েক বছর আগে সৎমেয়ে মিনুকে মেনে নিয়ে মাহমুদা আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। মাহমুদা গার্মেন্টসে চাকরি করতেন ও শফিকুল ভাঙারির ব্যবসা করতেন। গার্মেন্টসে অনেক দিন কাজ করায় মাহমুদার এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা হয়। ওই টাকা দিয়ে মেয়ে মিনুর নামে ডিপোজিট করার পরিকল্পনা করেন মা মাহমুদা।’

তিনি আরও জানান, ‘বিষয়টি শফিকুল জানতে পেরে মাহমুদার কাছে টাকা চান। তবে মাহমুদা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল তার বন্ধু রিপনকে নিয়ে সৎমেয়ে মিনুকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৮ জুন মা মাহমুদা বাড়িতে না থাকায় রাতে ঘুমন্ত মিনুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাশের জঙ্গলে ফেলে দেন তারা। পরদিন আবারও রাতে ওই মরদেহ একটি কারখানায় বাউন্ডারির ভেতর মাটি গর্ত করে পুঁতে রাখেন।’

‘এদিকে মিনুকে চাপা দেওয়া মাটি বৃষ্টির পানিতে সরে গিয়ে তার পা বের হয়ে আসে। এভাবে ১৭ দিন পার হলে মরদেহ পুরোটাই ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা বৃহস্পতিবার মরদেহ দেখে থানায় খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এই ঘটনায় ওইদিন রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রিপন মিয়াকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ’ বলে জানান তিনি।


   আরও সংবাদ