প্রকাশ: ১৬ মে, ২০২২ ০০:২১ পূর্বাহ্ন
জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কান্টিনে পঁচা মাছ রান্না করতে দেখা গেছে। এছাড়া অনেক আগের সবজি ব্যবহারসহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করতে দেখা গেছে। এতে খাবার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়,বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ক্যান্টিনের ভেতর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে খাবার। টেবিলের নিচে ফ্লোরে ঢাকনা ছাড়া রয়েছে রান্না করা তরকারি। এর ওপর ভনভন করছে মাছি।
এছাড়া রান্নাঘরে রাখা কাটা কাঁচা মাছ হাতে নেয়ার পর একরকম ভ্যাপসা দুর্গন্ধ এবং নরম দেখা যায়। সেখানে রাখা কাঁচা সবজিও অনেক আগের। এছাড়া ভাতের ঝুঁড়ির পাশেই ধোয়া হচ্ছে ময়লা থালা। এসময় থালা ধোয়ার ময়লা পানি ছিটকে ভাতের ঝুঁড়িতে পড়তে দেখা যায়। এসকল দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করার সময় দ্রুত ঢাকনা দিয়ে এসব ঢাকতে থাকেন এক ক্যান্টিন কর্মচারী।
এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে হল ক্যান্টিনে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, হলে মাছের তরকারি খেলে মনে হয় শুটকি মাছ। কারণ দুর্গন্ধ বের হয়। এই খাবার কোন স্বাধের না। মুরগি খেলে হাতের মধ্যে খুলে যায়। মনে হয় যেন বাসি মুরগি। মিনিকেট চাল বলা হলেও ভাত অনেক মোটা। এটা মিনিকেট চাল হয় কিভাবে।
অথচ এই খাবার খেতেই প্রতি মাসে আমাদের বিল আসে ৪০০০ থেকে ৪৫০০ হাজার টাকা। হল ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল। অভিযোগ করলেও কোন সমাধান মিলে না বলেন শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে হলের ক্যান্টিন পরিচালক নূর মোহাম্মদ মামুনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, 'হলের খাবারের মান ঠিক আছে, দামও ঠিক আছে! আপনারা অন্য জায়গায় খোজ নিয়ে দেখেন। আর আমাদের জায়গা কম বলে প্লেট ধোয়ার জায়গার পাশে ভাতের ঝুঁড়ি রাখা হয়েছিল।
এদিকে সার্বিক বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, 'হলের শিক্ষার্থীদের খাবার মান নিয়ে আমাদের কাছে তেমন কোনো অভিযোগ আসে নি। আর যেসব অভিযোগ আসে সেগুলা আমরা আমলে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করি। তবে আমাদের হলের মেয়েরা খুবই নোংরা অবস্থায় থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা অনেক পরিচ্ছিন্ন থাকলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের শিক্ষার্থীরা অপরিচ্ছন্ন ভাবে থাকে।এজন্য তারা পিছিয়ে আছে। তাদের দিয়ে কিছু হবে না।'
এসময় হলের কান্টিনে অপরিচ্ছন্নতার কথা জানালে তিনি বলেন, খাবার যেনো পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পরিবেশন করা হয় এ বিষয়ে আমি বারবার বলেছি। মাঝে মধ্যে তদারকিও করি।