Severity: Warning
Message: mysqli::real_connect(): Headers and client library minor version mismatch. Headers:100324 Library:30120
Filename: mysqli/mysqli_driver.php
Line Number: 201
Backtrace:
File: /home/bnnews24/public_html/application/controllers/SS_shilpi.php
Line: 6
Function: __construct
File: /home/bnnews24/public_html/index.php
Line: 316
Function: require_once
প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের দিন শেষ, চলমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, বিগডেটা কিংবা ব্লকচেইন প্রযুক্তির সাথে মানবিক সমাজকে যুক্ত করে বিশ্ব এখন পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের পথে ধাবিত হচ্ছে। পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের জন্য নিজেদেরকে এখনই তৈরি করতে হবে। আমরা রোবট কিংবা যন্ত্রের হাতে নিজেদের সপে দিব না। যন্ত্র মানুষের বিকল্প হবেনা। আমরা যন্ত্র দিয়ে মানুষকে স্থলাভিষিক্ত করবোনা ঠিকই কিন্তু যন্ত্রকে আমাদের সহায়ক হিসেবে কাজে লাগাতেই হবে।
তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে প্রচলিত শিক্ষার সাথে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এই জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বিশেষজ্ঞ হতে হবেনা। তবে ডিজিটাল যন্ত্র চালানোর নূন্যতম দক্ষতা প্রত্যেকেরই থাকতে হবে। এসব দক্ষতার কথা পাঠ্যবইতে না থাকলেও নিজের উদ্যোগেই এই দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তিনি এই লক্ষ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আজ বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি পুণর্গঠনের পাশাপাশি কুদরত-ই খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন, কারিগরি শিক্ষা প্রসার, ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, বিণামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউ ও ইউপিইউ‘র সদস্য পদ অর্জন এবং বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্লকে হত্যা করা হয়েছিলো।
তিনি বলেন, ২০২২ সালে আজকের বাংলাদেশ যে জায়গায় উপনীত হয়েছে বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আশির দশকের মধ্যেই তা সম্ভব হতো। তিনি বলেন, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তির সেরা কিংবদন্তী মানুষদের জীবনী অধ্যয়ন করেছি কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো বহুমাত্রিক জীবন অতুলনীয়। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা, তার জীবনধারা ও আদর্শ অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে গড়ে তোলার জন্য মন্ত্রী নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সবাই রাজনীতিক হবো তা নয়, বঙ্গবন্ধুকে অধ্যয়ন করতে পারলে জীবনের বহু অধ্যায় অতিক্রম করে বিজয়ী মানুষ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।
তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘তুমি যে কাজ করছো তা মেধা সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষায় সচেনতা থাকতে হবে।’ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ২০২১ সালে বাস্তবে পরিণত হওয়ার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, সবজী বিক্রেতা থেকে শুরু করে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে মানুষ এর সুফল পাচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্বে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণাটি প্রকাশিত হওয়ার আট বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে পৃথিবীতে প্রথম ডিজিটাল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ বছরে অতীতের শতশত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তিতে উন্নত বিশ্বের সমান্তরালে চলার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
কোভিড অতিমারিতেও আমরা আমাদের জীবনধারা কেবল সচলই রাখিনি আমরা প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিশ্বে দৃষ্টান্ত হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের যে বীজটি বপন করে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে তা চারা গাছে রূপান্তর করে গেছেন।
এই সময়ে তার গৃহীত পদক্ষেপের ফলে কম্পিউটার - মোবাইল ফোন মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে যায়। দেশে কম্পিউটার প্রোগ্রামার তৈরির ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টির ফলে প্রযুক্তি শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়, ভি-স্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেট চালুর ফলে প্রযুক্তি বিকাশ ও ব্যবহারে দ্বার উন্মোচিত হয়। মন্ত্রী নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরকে রত্ন আখ্যায়িত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন তোমরাই সে সোনার মানুষ। তোমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবে এবং এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: ছাদেকুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইউজিসি‘র সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসাইন এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ বক্তৃতা করেন।