প্রকাশ: ৫ মার্চ, ২০২১ ২০:৩৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সৃজনশীল ও সুস্থধারার বিনোদনমূলক কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে সুস্থ সমাজ-বিনির্মাণে অবদান রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘মুজিব আমার পিতা- বাংলাদেশে এনিমেশন ফিল্মের নবদিগন্ত ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান-অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সুস্থ-চলচ্চিত্র, সুস্থ সমাজ-গঠনে ‘মুজিব আমার পিতা’ ২০২১ সালের ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও তার কন্যার অর্থনৈতিক মুক্তির কর্মসূচিকে টেকসই করতে তাঁর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে প্রযুক্তিনির্ভর প্রজন্ম গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি সুস্থধারার কন্টেন্ট তৈরিতে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদকে সহযোগিতার জন্য অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
‘মুজিব আমার পিতা’ এনিমেশনটি বিশ্বমানের মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের নাফিস ইকবাল কুংফু পান্ডা নির্মাণ করে দুইবার অস্কার পেয়েছে। সোহেল রানার দলও অস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। এ ধরনের চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও তৈরির জন্য রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কসহ আরো ১২টি হাইটেক পার্কে আধুনিক সিনেপ্লেক্স স্থাপন করা হচ্ছে।
‘মুজিব আমার পিতা’ গ্রাফিক নভেলের অ্যানিমেশন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘প্রোলেন্সার স্টুডিও’ দলের নির্মাতারা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। চলচ্চিত্র পরিচালক সোহেল মোহাম্মাদ রানা, শিল্পী মনিরা আলম, রফিউজ্জামান রিদম এবং সিআরআই’র সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ আলোচনায় অংশ নেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে ৩টি দ্বিমাত্রিক চলচ্চিত্র (এনিমেশন ফিল্ম) তৈরি করছে আইসিটি বিভাগ। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার লেখা অবলম্বনে নির্মিত গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব আমার পিতা’। এগিয়ে চলছে মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু হওয়ার মধ্যবর্তী সময়কে ‘মুজিব ভাই’ এবং ১০ পর্বে ১০০ মিনিটের একটি এনিমেশন সিরিজ ‘খোকা’ তৈরির কাজ।