ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রতিমন্ত্রীর এপিএসসহ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নামে ভিত্তিহীন অভিযোগ


প্রকাশ: ২৫ জুলাই, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


প্রতিমন্ত্রীর এপিএসসহ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নামে ভিত্তিহীন অভিযোগ

   

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য’র এপিএস কবির খানসহ মণিরামপুরের ৮ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় দায়েরকৃত ভিত্তিহীন অভিযোগে বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। থানা পুলিশও অভিযোগের সত্যতা পাননি বলে জানান ওসি রফিকুল ইসলাম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২২ জুলাই মণিরামপুর উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভার শুরুতে সভাপতি ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসান প্রতিমন্ত্রীর এপিএস, নিরাপত্তা কর্মী ছাড়া আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্য বহির্ভূত সকলকে সভাস্থল ত্যাগ করার অনুরোধ করেন। 

সভায় উপস্থিত প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ইউএনও’র প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে সভার সদস্য ব্যতিত সকলকে সভাস্থল ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু অনুরোধ ও নির্দেশ উপেক্ষা করে উপজেলা চেয়ারম্যানের কথিত পিএস  মনিরুল ইসলাম নয়ন স্থান ত্যাগ না করে সভামঞ্চে অবস্থান করেন। 

এসময় প্রতিমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত গাণম্যান খাইরুল ইসলামসহ কয়েকজন এগিয়ে গিয়ে তাকে সভাস্থল ত্যাগ করার অনুরোধ করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে থানার ওসি রফিকুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন নয়নকে সভাস্থলের বাইরে পাঠিয়ে দেন। 

এসময় সেখানে প্রতিমন্ত্রীর এপিএস কবির খান উপস্থিত ছিলেন। পরদিন ২৩ জুলাই এটিকে পুঁজি করে ২০ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল সেট, পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়াসহ ছুরি-চাকু দেখিয়ে মারতে উদ্যতসহ নানা অভিযোগ এনে উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পিএস নয়ন প্রতিমন্ত্রীর এপিএস কবির খানসহ বিল্লাল হোসেন, সোহাগ, আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, ইলিয়াস হোসেন, রমেশ দেবনাথ ও উত্তম দে’র নাম উল্লেখ করে ৮ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর নামে থানায় অভিযোগ করেন। যা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দলীয় নেতাকর্মীসহ সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য নিশ্চিত করেছেন। 

প্রতিমন্ত্রীর এপিএস কবির খান চেয়ারম্যানের পিএস নয়নের সাথে কোন ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে বলেন, তিনি দলের দুঃসময় উপজেলা ছাত্রলীগের যগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন কালে একাধিক মামলা- হামলার শিকার হয়েছেন। তার বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. বশির খানও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ জেলা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তার পরিবারের কারো বিরুদ্ধে অদ্যবদি কেউ অভিযোগ দেখাতে পারবে না। অথচ এখন তার বিরুদ্ধে একজন মিথ্যা অভিযোগ এনে তার সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছেন-যা দুঃখজনক বলে তিনি মনে করেন।

উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার বলেন, সভার সদস্য ব্যতিত নয়নসহ সকলকে সভাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। সেখানে আর কোন ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।

থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানমের পিএস নয়নের অভিযোগের কোন সত্যতা পাননি। 

এদিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, সরদার এরশাদ আলী, শামছুল হক মন্টু, আব্দুল হামিদ, মনিরুজ্জামান মনি, গাজী মোহম্মদ আলী, গাজী মাযাহারুল আনোয়ার, শেখর চন্দ্র রায়, মাস্টার মশিয়ূর রহমানসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পেশাজীবির জনগনসহ বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে।  


   আরও সংবাদ