প্রকাশ: ২৪ অগাস্ট, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের এড়োলের বিলে শত শত বিঘা ধানি জমি অপরিকল্পিত বাঁধের কারণে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। বিষয়টি সরেজমিনে দেখে দ্রুততার সাথে সমাধানের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশনা ভেড়ি মালিকরা না মানায় ২৪ আগস্ট জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকরিপি জমা দিয়েছেন এলাকাবাসি।
জানা যায়, ১৩ জুলাই এলাকাবাসি বিষয়টির দ্রুত সমাধানের জন্য চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী এনামুল হকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন।
লিখিত স্মারকলিপিতে কৃষকরা বলেন, এড়োলের বিলে কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি সরকারি খাল রয়েছে। এ খালের পানি যশোর সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রাম হয়ে বুকভরা বাওড়ে গিয়ে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি এলাকারই আব্দুল তুহিন বিশ্বাস, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল মান্নান, মিজানুর রহমানসহ এলাকার প্রভাবশালী কয়েক ব্যাক্তি পানি প্রবাহের খাল বন্ধ করে মাছ চাষের জন্য বাঁধ নির্মাণ করেছেন।
খালটি বন্ধ করে দেওয়ায় জলাবদ্ধতার কারনে উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের গোপিনাথপুর, বড়কুলি, দশপাখিয়া, রঘুনাথপুর, মৎস্যরাঙ্গা, বুড়িয়ান্দিয়া গ্রামের কয়েক'শ বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে আছে। ফলে এসব জমিতে আমন ধান ঘরে আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে পার্শ্ববর্তী কয়েক গ্রামের কৃষকরা চরম হতশায় ভূগছেন।
স্মারকলিপি পেয়ে ২৩ জুলাই নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভেড়ির মালিক ও এলাকাবাসিকে নিয়ে এক সমম্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের জন্য পাশাপোল ইউপি চেয়ারম্যান আবাইদুল ইসলামের উপর দায়িত্ব দেন নির্বাহী কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী কৃষক মোজ্জাফর, আমিনুর, ইসাহকসহ এলাকাবাসি জানান, আজ পর্যন্ত বিষয়টির কোনো সমাধান হয়নি। তারা আরো জানান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান সরেজমিনে গিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারি খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশনের যে নির্দেশনা দিয়েছেন ভেড়ির মালিকরা সেই নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করেনি।
এলাকার শত শত বিঘা জমির ধান বাঁচাতে খুব শিঘ্রই বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।
পাশাপোল ইউপি চেয়ারম্যান অবাইদুল ইসলাম সবুজ বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে ভেড়ির মালিকদের সাথে কথা বলে এসেছিলাম। তারা নিজেরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবেন বলেছিল। কৃষকদের বলেছিলাম সমাধান না হলে আমাকে জানাতে। তারা আর কিছু জানায়নি। যে কারণে আমি মনে করেছি বিষয়টি সমাধান হয়ে গিয়েছ।
চৌগাছার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, এ বিষয়ে ইউএনও মহোদয় যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন ভেড়ির মালিকরা সে অনুযায়ী কাজ করেনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী এনামুল হক জানান, বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে সমাধানের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলাম। আমার জানামতে বিষয়টি সমাধান হয়ে গিয়েছে। তারা ডিসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে কি না আমার জানা নেই।