প্রকাশ: ২৩ অগাস্ট, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি ; গত কয়েকদিনের টানা বর্ষনে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার সুন্দলপুর বাজার হতে মোকমতলা খানপুর পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তাটির এখন বেহাল দশা।
রাস্তাটিতে কাঁদা-পানিতে বর্তমানে চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার ফলে পথচারীসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছে। এই রাস্তা দিয়ে মাঠের ফসল ঘরে তুলতে কৃষকের ভোগান্তির অন্ত নেই।
রাস্তাটি সংস্কার করা এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি হলেও আজ পর্যন্ত ভোগান্তি লাঘবে কেউ এগিয়ে আসেননি। ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষ পর্যন্ত কেউ কথা রাখেন নি।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সুন্দলপুর বাজার থেকে মোকমতলা খানপুর রাস্তাটির দুরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। সুন্দলপুর বাজার থেকে ধলিগাতী হাইস্কুল পর্যন্ত আধা কিলোমিটার রাস্তায় ইটের সলিং রয়েছে। বাকি দেড় কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা। রাস্তাটি শ্যামকুড় ও খানপুর দুই ইউনিয়নকে যুক্ত করায় দিনরাত মানুষের চলাচল অব্যহত থাকে।
এই রাস্তার পাশেই রয়েছে ধলিগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ধলিগাতী মাদরাসা, রয়েছে মসজিদও। এই রাস্তায় নিত্যদিন জামলা, ভরতপুর, খানপুর, চিনাটোলা ও নেহালপুর এলাকাসহ পূর্ব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
এছাড়া স্থানীয় কৃষকদের ক্ষেতের ফসল ঘরে তুলতে ও বাজারে নিতে এই রাস্তাটিই একমাত্র ভরসা। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি কাঁদায় ভরে যাওয়ায় এলাকাবাসীর ভোগান্তির সীমা থাকে না। সাইকেল, ভ্যান বা মোটরসাইকেল দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচলই সেখানে অতি কষ্টের।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান বলেন, রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা সংস্কারে কেউ এগিয়ে আসেননি। ভোটের সময় আসলে অনেকে কথা দেন আমাদের ভোগান্তি লাঘব করবেন কিন্তু পরে আর কথা রাখেন না।
স্থানীয় শ্যামকুড় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বুলু বলেন, শুক্রবার আমি ওই রাস্তায় গিয়েছিলাম। আমি নিজেই হেঁটে আসতে পারছিলাম না। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার হবে বলে আশা করছি।
শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ইউনিয়নের একটি মাত্র রাস্তা নিয়ে বড় সমস্যায় আছি। আর সেটি হচ্ছে সুন্দলপুর-খানপুর সংযোগ রাস্তা।অবিলম্বে রাস্তাটির সলিং এর কাজ হবে।