ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চৌগাছায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রকল্পের ভাতা ও খাস জমি বরাদ্দের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ


প্রকাশ: ১৭ জুলাই, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


চৌগাছায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রকল্পের ভাতা ও খাস জমি বরাদ্দের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

   

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছার পাতিবিলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিশারত আলীর ওরফে বিষের বিরুদ্ধে সরকারি পুনর্বাসন প্রকল্পের জমি, বযস্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও মাতৃত¦কালিন ভাতা প্রদানের জন্য অর্থ আদায়ের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা গত ১২ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে ফয়জান বেগম, হাব্বুর রহমান ও আব্দুল গণি বলেছেন পাতিবিলা ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিশারত আলী ওরফে বিষে সরকারি বাড়ি (অতিদরিদ্রদের পূনর্বাসন প্রকল্পের) ও খাস জমি পাইয়ে দেবার নামে পাতিবিলা গ্রামের মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা, ইকবাল হোসেনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং ফয়জন বেগম ও আব্দুল গনির কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা করে দিতে হবে বলে চুক্তি করে ২ হাজার টাকা নিয়েছে। 

এছাড়াও বিধবা ভাতার নামে গ্রামের চায়না বেগম, ছায়রা খাতুন, শাহী খাতুন, বযস্ক ভাতার নামে আকবার আলী ও মাতৃত্বকালিন ভাতার নামে জিনিয়া খাতুন, রেশমা খাতুন ও তানিয়ার কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট তারা সরেজমিন তদন্ত করে এর সুবিচার দাবি করেন।

শনিবার সরেজমিনে পাতিবিলা গ্রামে গেলে আব্দুল গনি বলেন মেম্বর আমার বাড়ি করার জন্য ৩শতক সরকারি জমি পাইয়ে দেবার জন্য ৮হাজার টাকা চান। আমি ২হাজার টাকা দিয়েছি। ফয়জান বেগম বলেন বাড়ির জমির জন্য টাকা দিয়েছি। কিন্তু জমিতো দিচ্ছেনা। মনিরুল ও ইকবাল টাকা দেয়ার দাবি করেন। গ্রামের বিধবা ছায়রা খাতুন বলেন বিষে মেম্বরকে ১ হাজার টাকা দিয়ে কার্ড পেয়েছি। 

বযস্ক ভাতার বিষয়ে আব্দুল খালেক ঢালী বলেন মেম্বরকে টাকা দিয়েও কার্ড পায়নি। পরে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ধরে কার্ড করে নিয়েছি। মাতৃত্বকালিন ভাতার বিষয়ে তানিয়া খাতুন বলেন বিশারত মেম্বরকে টাকা দিয়েও ভাতার টাকা পেলাম না। শুনছি অনেকে এই টাকা পেয়েছে। 

এসব বিষয়ে পাতিবিলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বর বিশারত আলীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। কোন কার্ড করার ব্যাপারে কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেইনি। মূলতঃ আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী এনামুল হক অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


   আরও সংবাদ