ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

বঙ্গবন্ধু’র সংগ্রামী ইতিহাস বঙ্গমাতাকে ছাড়া এক অসম্পূর্ণ দলীল : রাষ্ট্রদূত নাহিদা


প্রকাশ: ৮ অগাস্ট, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


বঙ্গবন্ধু’র সংগ্রামী ইতিহাস বঙ্গমাতাকে ছাড়া এক অসম্পূর্ণ দলীল : রাষ্ট্রদূত নাহিদা

   

কূটনৈতিক প্রতিবেদক : রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান বলেন, বঙ্গবন্ধু’র সংগ্রামী ইতিহাস বঙ্গমাতাকে ছাড়া এক অসম্পূর্ণ দলীল। বঙ্গমাতার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ ও মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি বঙ্গমাতার মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছেন।

আজ জর্ডানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯০তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য  বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করে। 

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা সকল সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে অবদান রেখেছেন। বিশেষত, ৭ই মার্চের ভাষণের প্রাক্কালে এবং ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে পাকিস্তানে বৈঠকে না যাওয়ার বিষয়ে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল। সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিচক্ষণতা ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বঙ্গমাতার যে দূরদর্শী দক্ষতা তা-ই বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের মহা নায়ক বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছে প্রবল আস্থা ও বিশ্বাস।

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বঙ্গমাতার আদর্শকে ধারন করে বাংলাদেশের নারী’র ক্ষমতায়নের যে যুগ রচনা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশের নারীরা বিচরণ করছে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ও কর্মের প্রতিটি ক্ষেত্রে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশী নারীদের এই আদর্শ ধরে রেখে তাদের কর্মক্ষেত্রে ও দেশে অবদানের আহ্বান জানান।

দিবসটি উপলক্ষ্যে জর্ডানের বাংলাদেশী শ্রমিকদের মধ্যে এক রন্ধন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী ছাড়াও ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও জর্ডানের পোশাক শ্রমিকরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগীতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী সকলকে সন্মাননা পুরষ্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। 

রন্ধন প্রতিযোগিতা চলাকালে বঙ্গমাতা’র জীবনের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর মাধ্যমে জর্ডানস্থ নারী শ্রমিক এবং অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের মধ্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার অবদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিযোগিতার প্রাক্কালে জর্ডানস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার জীবন এবং অবদানের উপর বক্তব্য রাখেন। 

একইদিন সকালে দূতাবাসে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলোওয়াত এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর বঙ্গমাতার জীবনের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। 

দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনাসভায় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারি ছাড়াও জর্ডান প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশ নেন। 

উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে শরীফ বিপ্লব, জালাল উদ্দিন আহমেদ ও এহসান উল হক হেলাল বক্তব্য রাখেন। 

তারা বলেন, বঙ্গমাতা শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা ও সাহসের উৎস।


   আরও সংবাদ