ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

গ্রীসে বঙ্গমাতা ও শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালন


প্রকাশ: ৮ অগাস্ট, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


গ্রীসে বঙ্গমাতা ও শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালন

   

কূটনৈতিক প্রতিবেদক : মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী এবং বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে গ্রীসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে।

আজ রোববার (৯ আগস্ট) বিকেলে এথেন্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে এ যথাযোগ্য মর্যাদায় তাদের জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে গ্রীসের স্থানীয় আইন অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে গ্রীসে বসবাসকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠের পরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং শহীদ শেখ কামালের জীবনীর উপর বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এই উপলক্ষে আলোচনায় বক্তারা বঙ্গমাতা ও শেখ কামালের ত্যাগ, তিতিক্ষা ও কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি গ্রীসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিন বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের মহতী ত্যাগের জীবন বঙ্গবন্ধুর জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। 

মুজিববর্ষে বঙ্গমাতাকে স্মরণের মধ্য দিয়ে তার ধৈর্যশীল এবং কর্মময় জীবন থেকে আমরা প্রেরণা লাভ করছি এবং তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে একটি সুখী বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। 

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের তারুণ্যদ্বীপ্ত এবং কর্মময় জীবনের কথা স্মরণ করে বলেন, শেখ কামাল ছিলেন সংস্কৃতিমনা এবং ক্রীড়াপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব। মুক্তিযুদ্ধেও অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন এবং স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে নবগঠিত দেশে একজন সফল ক্রীড়া এবং সংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে তিনি যে দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে রেখে গেছেন সেটি আমাদের জন্য অনুকরনীয়। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত পদক্ষেপে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশে গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী থেকে প্রবাসী বাংলাদেশী ও সর্বস্তরের বাংলাদেশী নাগরিকদের মুক্তি, বিশ্বমানবতার কল্যাণসহ দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।


   আরও সংবাদ