প্রকাশ: ৭ অগাস্ট, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
কূটনৈতিক প্রতিবেদক : ক্যানবেরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান আগস্ট মাসকে শোকের মাস হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। তিনি আলোচনায় শেখ মুজিবের যুব নেতা থেকে উঠতি নেতা হয়ে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার সকল স্তরে রেনু, বেগম মুজিব ও বঙ্গমাতার অসীম অবদানের কথা উল্লেখ করেন। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের জন্য উৎসর্গ করেন। এটাই তাঁর সর্বোত্তম অবদান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের মুখে হাসি ফোটানোর প্রয়াসের মধ্য দিয়ে জাতি বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার এ ঋণ শোধ করতে পারেন।
আজ শনিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় ক্যানবেরাতস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী যথাযথভাবে পালন করা হয়। করোনা ভাইরাস জনিত মহামারির জন্য যথা নিয়মে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ক্যানবেরাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এতে উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপরে অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্মিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের স্মৃতিচারণ মূলক ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় নেতা হয়ে উঠার প্রেরণাদানকারী বঙ্গমাতার স্মৃতির উপর আলোচনা পর্বে হাইকমিশনার সুফিউর রহমানসহ ক্যানবেরাস্থ অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসীরা অংশগ্রহণ করেন।
এতে আলোচকগণ বঙ্গমাতার স্মৃতির প্রতি গভীরশ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন যে, বঙ্গমাতা ছিলেন বাঙালির অহংকার ও নারী সমাজের প্রেরণার উৎস। আলোচনায় স্বাধীনতার সংগ্রামের কঠিন দিনগুলোতে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে বঙ্গমাতা কিভাবে দৃঢ়তার সাথে পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছিলেন তা বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে তাঁর অবদানকে বিনম্র চিত্তে স্মরণ করা হয়।