ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

শেখ ফজিলাতুন নেছা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সকল অনুপ্রেরণার উৎস : ড. শাহিদা আকতার


প্রকাশ: ৭ অগাস্ট, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


শেখ ফজিলাতুন নেছা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সকল অনুপ্রেরণার উৎস : ড. শাহিদা আকতার

   

জাপান টোকিও থেকে শিপলু জামান : চার্জ দ্যা এফেয়ারস ড. শাহিদা আকতার বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সকল অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর সাথে ছায়ার মতো অবস্থান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের নিভৃত সহচর হিসাবে বিদ্যমান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান ও সহযোগিতা করেছেন। 

আজ শনিবার (০৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। 

চার্জ দ্যা এফেয়ারস আরো বলেন, সংগ্রামী জীবনে বঙ্গবন্ধু জীবনের বিড়াট অংশ জেলে কাটিয়েছেন, আর এসময় সাহসী বঙ্গমাতা পরিবার দেখাশোনার পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরও আগলে রেখেছিলেন প্রজ্ঞা ও দায়িত্বশীলতার সাথে। আর এজন্যই কোন রাজনৈতিক পদধারী না হয়েও তিনি বাংলাদেশে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রতিক। 

ড. শাহিদা আকতার বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন একজন আদর্শ নারী যিনি পরিবারে স্ত্রী-মাতার ভূমিকায় কোমলতা আর দেশের প্রয়োজনে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কঠোরতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ছিলেন। বঙ্গমাতার আদর্শ দেশের নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে নারীদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান ড. শাহিদা আকতার যাতে তাঁরা বঙ্গমাতার জীবনকর্ম  থেকে ত্যাগ, দেশপ্রেম, সাহস, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।   

অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও দেশবাসীর কল্যাণে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বানী সকলের উদ্দ্যেশে পাঠ করা হয়।

জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বিনম্র শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালোবাসা নিয়ে মহিয়সী এই নারীর জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। আজ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের চার্জ দ্যা এফেয়ারস ড. শাহিদা আকতার এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।  

অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের উপর উম্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।


   আরও সংবাদ