ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয় শোক দিবস পালনে স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশিকা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের


প্রকাশ: ২৯ জুলাই, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


জাতীয় শোক দিবস পালনে স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশিকা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের

   

স্টাফ রিপোর্টার : প্রতি বছরের নেয় এবছরও জাতীয় শোক দিবস পালন করতে চাই সরকার। কিন্তু এ বছর করোনা ভাইরাস নামক মহামারির কারণে যেন অনিশ্চিত হয়ে পরেছে এই দিনটি। বছরের এই দিনে প্রিয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে যেন সবাই কষ্ট হাল্কা করার সুযোগ পান। তবে এবছরও স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রিয় মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের কোনো কমতি থাকবে না বাঙালির।

এই দিন বাঙালি হারিয়ে ছিলেন তার গর্বের ধন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে। যার অসম্ভাব নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পেয়েছিলেন এক খানি স্বাধীন জন্মভূমি। আর এই জন্য ১৫ আগস্ট দিন টি বাঙালি জাতির জন্য খুব কষ্টের। 

আগামী “১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস” উপলক্ষে সকলকে নিরাপদ রাখতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি নির্দেশিকা বা গাইডলাইন দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান এক বার্তায় এ তথ‌্য জানান।

'১৫ই আগস্ট উদযাপন উপলক্ষে পালনীয় স্বাস্থ্যবিধি'

১. অনুষ্ঠান স্থলের প্রবেশ ও বাহির পথ পৃথক ও নির্দিষ্ট করতে হবে।

২. শ্রদ্ধাজ্ঞাপন স্থানে একাসাথে ১৫-২০ জনের বেশি মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন না। আগত ব্যক্তিবর্গ নির্দিষ্ট দূরত্ব (৩ ফুট, কমপক্ষে ২ হাত) বজায় রেখে লাইন করে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করবেন এবং শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে বের হয়ে যাবেন। সম্ভব হলে পুরো পথ পরিক্রমাটি গোল চিহ্ন দিয়ে নির্দিষ্ট করা যেতে পারে।

৩. সমাবেশ আগত সকলের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। প্রবেশ পথে হ্যান্ডস্যানিটাইজার সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

৪. সর্দি, কাশি,জ্বর বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ করবেন না।

৫. হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা কনুই দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু ও বর্জ্য ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ঢাকনাযুক্ত বিনের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং জরুরীভাবে তা অপসারনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল-

১. জনসমাগম যথা সম্ভব কম রাখতে হবে। অনুষ্ঠান স্থল বা কক্ষের আয়তনের উপর লোকসংখ্যার উপস্থিতি নির্ধারণ করতে হবে।

২. অনুষ্ঠানে আগত সকলের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক, মাস্ক ব্যতীত কাউকে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।

৩. প্রবেশ পথে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সম্ভব না হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

৪. অনুষ্ঠানস্থলে একজন থেকে আরেকজন নির্দিষ্ট দূরত্ব (৩ফুট/কমপক্ষে ২ হাত) বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে বসার স্থানটি নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।

৫. হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ এবং নাক ঢাকতে হবে এবং ব্যবহৃত টিস্যু ও বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। জরুরি বর্জ্য অপসারনের ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে।

৬. স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।


   আরও সংবাদ