ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কাওলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মানিক নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা


প্রকাশ: ৩১ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


কাওলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মানিক নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা

   

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বিমানবন্দরের কাওলা-আশকোনা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলার শিকার হওয়া ওই ব্যবসায়ী নাম মানিক হোসেন তিনি ইয়ারপোর্ট কাওলা এলাকায় বসবাস করেন।

আহতের সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাইমের ভাতিজা সাইয়েমের সন্ত্রাসীরা ও পুরাতণ শত্রু এল.জি স্বপনসহ বেশকিছু সন্ত্রাসীরা তার উপর এ হামলা চালাই।

আজ রাত ১ টার দিকে কাওলা বাজার এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় মানিক হোসেন গুরুতর আহত হন এবং তিনি ঢামেক হসপিটালে চিকিৎসকের আওতায় আছেন।

ঢাকা মেডিকেল হসপিটাল সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসা শেষে ডাক্তার এর নিবিড় পরিচর্যা রয়েছে আহত মানিক। তার মাথায় চোদ্দটা সেলাই দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। করোনার কারণে আমরা তাকে চিকিৎসার আওতায় রাখা হয়েছে।

এই হামলার ঘটনায় মানিক আর্থিক এবং শারীরিক ভাবে খুব ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এসময় সন্ত্রাসীরা তার গাড়ি ভাংচুর চালায়, দুটি মোবাইল সেট, নগদ ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, হাতও গলার স্বর্ণ নিয়ে যায়।

এসময় হামলার শিকার হওয়া অভিযোগকারী মানিক বলেন, এল জি স্বপন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার উপর এই হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় কাউন্সিলর নাইমের আপন ভাতিজা সাইয়েম সহ মুখোশ পরা ৬-৭ জন সন্ত্রাসী আমার উপর হামলা চালায় যার ফলে ঘটনাস্থলে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। এ ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশের এএসআই সুমন শিকদার ও বাজারের নাইট গার্ড সহ কয়েকজন ধরে আমাকে হসপিটালে নেই।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে আমার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। সায়েমের নেতৃত্বে ৬ সন্ত্রাসীর মধ্যে তিনজনকে আমি চিনতে পেরেছি বাকি তিনজন সম্পূর্ণই মুখোশধারী ছিল এজন্য চিনতে পারিনি।

হামলায় আহত মানিক হোসেন আরো বলেন, কাউন্সিলরের ভাতিজা হঠাৎ কাওলা বাজারে এসে আমার গাড়ির সামনে তার গাড়ি দিয়ে পথ বন্ধ করে দেয় আমি পাশ কেটে যেতে চাইলে বাধা প্রয়োগ করে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে আমাকে সায়েম ডেকে বলে আপনি বের হয়ে আসেন। 

আমি গাড়ি থেকে বের হলেই পিছন থেকে কাঁচের বোতল এবং রড দিয়ে ২-৩ জন আমাকে বেদম মারপিট করে। আমি দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে আমাকে ধরে ছয় জনে মিলে আবার ও মারধর করে। ঘটনাস্থল থেকে আমার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় সন্ত্রাসীরা নিহত ভেবে পালিয়ে যায়।

মানিক হোসেন বলেন, এই বিষয়ে আমি এয়ারপোট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং আগে ও ২ টা জিডি করেছি নিরাপত্তার স্বার্থে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান নাঈমকে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এয়ারপোট সংশ্লিষ্ট থানার (ওসি) অপারেশন নুর মোহাম্মদ বলেন, এই বিষয়ে আমাদের সংশ্লিষ্ট থানায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। তবে যদি কোন সাধারণ ডায়েরী বা অভিযোগ দায়ের করা হয় এই হামলার প্রেক্ষিতে মামলা হয় তাহলে পুলিশ আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


   আরও সংবাদ