ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

ঘূর্ণিঝড় "আম্পান" বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা : আনোয়ার


প্রকাশ: ১৬ মে, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ঘূর্ণিঝড়

   

স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় "আম্পান"নামে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি সচিব কবির বিন আনোয়ার।

আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা এবং করণীয় বিষয়ে আজ রবিবার (১৭ মে) দুপুরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পানি সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে যা খুলনা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে আঘাত করতে পারে। তবে বায়ু প্রবাহের পরিবর্তনের ভিত্তিতে এটি উড়িষ্যা ও সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলেও আঘাত করতে পারে।

প্রস্তুতি গ্রহনের আহ্বান জানিয়ে পানি সচিব বলেন, ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আগামীকাল নাগাদ আঘাত হানার সম্ভাব্য স্থান নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে ঘূর্ণিঝড় আঘাত না হানলেও উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত ও উঁচু জোয়ারের সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের অনুরোধ করছি।

এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক জনাব এ এম আমিনুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্বাঞ্চল) মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিমাঞ্চল) জনাব হাবীবুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঘূর্ণিঝড়ের দরুণ বাংলাদেশের খুলনা বিভাগীয় উপকূলীয় অঞ্চল অতি ঝুঁকিপূর্ণ, বরিশাল বিভাগীয় উপকূলীয় অঞ্চল মাঝারী ঝুঁকিপূর্ণ এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপকূলীয় অঞ্চল কম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভিত্তিক আবহাওয়া সংস্থা ECMWF ও যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আবহাওয়া সংস্থা NOAA তথ্যানুসারে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় "আম্পান" বাংলাদেশের পায়রা বন্দর হতে ১২৩০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ভারতের তামিলনাড়ু ও অন্ধপ্রদেশ উপকূলে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বায়ুর সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮৮ কি.মি./ঘন্টা যা পরবর্তী ১২ ঘন্টায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে এবং ২৪  ঘন্টায় ধীরে উত্তর অভিমুখে অগ্রসর হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে দ্রুতগতিতে পশ্চিমবঙ্গ-দক্ষিণপশ্চিম বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চলের উপর দিয়ে ২০ মে সন্ধ্যায় অতিক্রম করতে পারে। 

এসময় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বায়ুর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কি.মি. থাকতে পারে।


   আরও সংবাদ