ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নামাজ মানুষকে অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে


প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


নামাজ মানুষকে অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে

   

এম এ ইউসুফ আলী : নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় রোকন। ঈমানের পরেই নামাজের স্থান। নামাজ ইবাদতের অপরিহার্য অংশ,যাহাকে ফরজে আইন বলা হয়।বিনা কারণে নামাজ ছেড়ে দিলে মহাপাপের ভাগিদার হতে হবে। 

ইসলামের পাঁচটি রোকন (স্তর) ১.কালিমা, ২.নামাজ, ৩. রোজ, ৪. হজ্জ, ৫. যাকাত।

নামাজ অস্বীকার করা মারাত্মক অপরাধ।রাসুল (সা:)বলেন, মুসলমান এবং অমুসলিমদের মধ্যে পার্থকারীর মানদন্ড হল নামাজ।অর্থাৎ মুসলমান নামাজ আদায় করে এবং অমুসলিমগন নামাজ পরেনা। নামাজ মানুষের দেহ মনকে সব ধরনের পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত রাখে।

এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারিম ইরশাদ করেন, و اقم الصلوة - ان الصلوة تنهى عن الفحشاء و المنكر অর্থাৎ আর নামাজ কায়েম করো। নিশ্চয়ই নামাজ (মানুষকে) অশ্লীল এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। (সূরা আনকাবুত, আয়াত নং-৪৫) 

কিন্তূ দুঃখের বিষয় হলো আমরা অনেকে নামাজ পড়ি সত্য অথচ আমরা এর পাশাপাশি মিথ্যা বলা, চুরি করা, ডাকাতি করা, খুন করা, রাহাজানি করা,সন্ত্রাসী করা, চাদাবাজি করা, পরকে ঠকানো, সুদ খাওয়া, ঘুষ খাওয়া ইত্যাদি কু-কর্মও করে থাকি। নামাজ আমাদেরকে এ সমস্ত কুকর্ম বা গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখতে পারতেছে না। 

অথচ মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেছেন, নিশ্চয়ই নামাজ (মানুষকে) অশ্লীল এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।(সূরা আনকাবুত, আয়াত -৪৫) এর কারণ কি? তবে কি মহান আল্লাহ তায়ালা আল-কুরআনে যে ঘোষণা দিয়েছেন তা কি বাস্তব নয়? নাউজুবিল্লাহ! তা হতে পারে না। সুতরাং বুঝতে হবে, আমরা নামাজ পড়ি সত্য, কিন্তু এমন নামাজ আমরা পড়তে পারতেছি না, যা মহান আল্লাহ্‌ তায়ালার দরবারে কবুল হওয়ার যোগ্য। 

হাদীস শরীফে আছে, হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সঃ) বলেছেন,তোমাদের কেউ যখন নামাজ আদায় করে, তখন সে তার প্রভুর সাথে মুখোমুখি গোপন আলাপ করে। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫০৬) রাসূল (সঃ) আরও বলেছেন, اعبد الله - كأنك تراه فان لم تكن تراه فانه يراك অর্থাৎতুমি এমনভাবেই মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত (নামাজ আদায়) করো, যেন তুমি তাকে দেখতেছ। 

আর যদি তুমি তাকে দেখতে না পাও, তবে এ বিশ্বাস রাখ যে নিশ্চয়ই তিনি তোমাকে দেখতেছেনহাদিসে জিবরীল (সহীহ মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ) এটাই বাস্তবতা, যতদিন আমাদের নামাজে পরিপূর্ণতা না আসবে ততদিন এই নামাজ আমাদের কোন কাজে আসবেনা।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আশুন আমরা সে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করি, যে ভাবে আল্লাহ তায়ালা আদেশ করেছেন,এবং নবী করীম সা: সাহাবায়ে কেরামগনকে শিক্ষা দিয়ে গিয়াছেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে কবুল করে নিন। এবং এই মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে হেফাজত করুন। আমিন।


   আরও সংবাদ