ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চৌগাছায় ভূগর্ভস্থ্য পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিপাকে কৃষকরা


প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


চৌগাছায় ভূগর্ভস্থ্য পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিপাকে কৃষকরা

   

খান সাহেব : য‌শো‌রের চৌগাছা উপজেলায় ভূ-গর্ভস্থ্য পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। একদিকে গ্রীষ্মের দাপদাহে দ্রুত শুকাচ্ছে ক্ষেতের পানি, অন্যদিকে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ পাম্পে পানি উঠছে কম। কেউ কেউ মাটি খুড়ে ১০/১২ ফুট নীচে মেশিন বসিয়ে পানি তোলার চেষ্টা করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে প্রায় ১৭ হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে ব‌ো‌রো ধান চাষ করা হয়েছে। উপজেলায় মোট ১১ হাজার ৪’শ ১৩ টি সেচ পাম্প রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ চালিত ৭৫০ টির মধ্যে গভীর নলকুপ রয়েছে ১৫৬ টি। ডিজেল চালিত সেচপাম্প ১০ হাজার ৫’শ টি এবং সোলার পাম্প রয়েছে ৭টি।

এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সেচ কাজে আশানুরূপ পানি না পেয়ে ১০ ফুট পর্যন্ত গর্ত করে নলকুপ বসিয়ে পানি তোলার চেষ্টা করছেন অনেকে। ১১ টি ইউনিয়নের মধ্যে সিংহঝুলী, পাশাপোল, সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফসলের মাঠেই নয়, উপজেলার বেশিরভাগ গ্রামের নলকুপেও পানি উঠছেনা। অনেকেই সমতল পৃষ্ট থেকে ১০/১২ ফুট নিচে গভীর নলকুপ বসিয়ে পানি তোলার চেষ্টা করছেন।

সুকপুকুরিয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ, পাশাপোল ইউনিয়নের মৎস্যরাঙ্গা গ্রামের আব্দুল খালেক, সিংহঝুলী ইউনিয়নের সিংহঝুলী গ্রামের বাদলসহ উপজেলার অনেকেই জানান, ১০০-১৩০ ফুট গভীরে পাইপ বসিয়ে ঠিকঠাক মতো পানি পাচ্ছেন না তারা। ১৫/২০ বছর আগেও ৭০-৮০ ফুট মাটির নিচ থেকে এসব এলাকায় বেশ ভালো পানি পাওয়া যেত। 

এ সময় তারা আরো জানান, সেচযন্ত্রে পানি কম ওঠায় ইরি-বোরো চাষাবাদে তাদের জ্বালানি খরচ বেড়ে গেছে।

সিংহঝুলী গ্রামের বাসিন্দা ফি‌রোজ খান, ত‌রিকুল ইসলাম, সাগর খান, র‌বিওল ইসলাম,মাস্টার সামছুর রহমান জানান, তাদের টিউবও‌য়ে‌লে  এক‌ফোটাও পা‌নি উঠ‌ছে না। এছাড়া গ্রামের অধিকাংশ টিউবওয়েলে পানি উঠছেনা। যে কারনে সুপেয় খাবার পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েকহাজার টিউবওয়েলে উঠছে না বলে জানা গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দীন জানান, ভু-গর্ভস্থ্য পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কৃষকের সেচ কাজে সমস্যাটি সাম্প্রতিক সময়ে বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে ভারি বৃষ্টি হলে পানির স্তর আবার উপরে উঠে আসবে। 

তিনি আরো বলেন, ভূ-গর্ভস্থ্য পানির উপরে চাপ কমাতে ইরি-বোরো চাষ কমিয়ে আউশ ও আমন চাষ বেশি বেশি করতে কৃষকদের উৎবুদ্ধ করা হচ্ছে।


   আরও সংবাদ