ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনার আড়ালেই ডেঙ্গুর আশংকা কীটতত্ত্ববিদদের


প্রকাশ: ২২ মার্চ, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


করোনার আড়ালেই ডেঙ্গুর আশংকা কীটতত্ত্ববিদদের

   

স্টাফ রিপোর্টার : বৈশ্বিক মহামারি করেনা আঘাত হেনেছে বাংলাদেশেও। প্রতিদিনই বাড়ছে একটি দুটি করে মৃতের সংখ্যা।সরকারের রোগতত্ত্ববিভাগ থেকে শুরু করে সব বিভাগগুলো কাজ করছে করোনা প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে। এ পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু নিয়ে আবারো আশংকার কথা জানিয়েছেন কীটতত্ত্ববিদরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যলয়ের কীটতত্ত্ববিদ ড.কবিরুল বাশার বলেন, এ বছরের তিন মাসে ডেঙ্গু রোগীর গতবছরের তুলনায় বেশ কয়েকগুণ বেশি, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ঘনত্বও বেশি।

তিনি বলেন, এখনই আগাম পদক্ষেপ না নেওয়া না হলে এবারও ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। 

তিনি বলেন, “করোনা ভাইরাসের কারণে সব ফোকাস’ চলে গেছে সেদিকে, তাই শঙ্কা হচ্ছে ডেঙ্গুর দিকটা দুর্বল না হয়।’ তিনি আগাম পদক্ষেপ হিসেবে এডিস মশা নিধনে এবং এডিস মশার প্রজননস্থল কমানোর ওপর জোর দেন।‘এডিসের ব্রিডিং প্লেস ম্যানেজমেন্টের জন্য মার্চ থেকে মে এই তিনমাস কাজ করতে হবে এবং মে-জুন থেকে স্প্রের কাজ করতে হবে,’ বলেন কবিরুল বাশার।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমে সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন,‘ কেবল গত বছরের তুলনায় নয়, বলতে গেলে গত ১৫-২০  বছরের তুলনায় এ বছরের শুরুতে রোগীর সংখ্যা বেশি।  গতবছর যখন রোগী সংখ্যা ১ লাখের বেশি হয়ে গেলো, একদিনেই যখন ২ হাজার ৪০০-এর বেশি রোগী ভর্তি হলো, তাহলে সে হিসাবে একটা মিনিমাম সংখ্যায় নামতেতো সময় লাগবে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ডা. শাহনীলা ফেরদৌস বলেন, ‘গতবারের তুলনায় চলতি বছর রোগী ভর্তির সংখ্যা বেশি ঠিকই, তবে গতবার কিছুটা ইনফরমেশন গ্যাপ ছিল, তথ্যগুলো সেভাবে শুরুর দিকে আসেনি। আবার গত মাসে প্রকাশিত পোস্ট মনসুন সার্ভে অনুযায়ী এবারে আবাসিক এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব কম, কিউলেক্স মশার ঘনত্ব বেশি।’তিনি বলেন, ‘আবাসিক এলাকায় এডিস মশা কম মানে হচ্ছে মানুষ সচেতন হয়েছে। কিন্তু নির্মাণাধীন স্থাপনা, ড্রাম, পরিত্যক্ত মোটরযানসহ পরিত্যক্ত জায়গাগুলোতে এডিস পাওয়া গেছে।’ এসব কারণে এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ হবে না বলে মনে করেন তিনি।

এরসঙ্গে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা এবং পরীক্ষা করার কিটের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত বছরে ৪৩ হাজার কিট প্রতিটি উপজেলায় পাঠানো হয়েছে এবং কিছু কিট মজুদ রয়েছে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কাছে। যেন খুব ইমার্জেন্সি হলে আমরা দিতে পারি।’ 

এপ্রিল মাসকে ‘প্রতিরোধ মাস’ হিসেবে সরকার ঘোষণা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরই অংশ হিসেবে আমরা নানা ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাবো গণমাধ্যমগুলোতে। আর এটা কিন্তু কেবল ঢাকাকে কেন্দ্র করে নয়, দেশের আট বিভাগেই এসব কার্যক্রম চালানো হবে অধিদফতরের পক্ষ থেকে।’


   আরও সংবাদ