প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল, ২০২১ ১০:২০ পূর্বাহ্ন
মোঃ আব্বাস, মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ চলতি মৌসুমে মণিরামপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আশাতিত ফলন পেয়ে কৃষকের চোখে মুখে এখন আনন্দের বন্যা বইছে। কষ্টের ফসল সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে কৃষক-কৃষাণীরা এখন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছে।
সোনালী ফসলে প্রতিটি মাঠ এবার ভরে গেছে। তাইতো আনন্দের জোয়ারে ভাসছে প্রতিটি কৃষক পরিবার। প্রকারন্তে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে প্রত্যেক কৃষক পর্যায়ে তাদের কাংখিত বোরো ধান মাঠ থেকে ঘরে তুলতে বেশ শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সুষ্ঠুভাবে কৃষকরা যদি তাদের উৎপাদিত ধান ঘরে তুলতে পারে তাহলে বোরো ধানের উৎপাদন অতীতের সকল বছরের রেকর্ড এবার ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষক ও সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের মন্তব্য থেকে জানা গেছে। সেই সাথে ধানের বাজার দর যদি ঠিক থাকে তবে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় চেয়ে কৃষকরা অধিক লাভের মুখ দেখতে পারবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আবুল হাসান জানান, চলতি বোরো মৌসুমে মণিরামপুর উপজেলায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২৭ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমি। আর আবাদ হয়েছে সাড়ে ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অধিক বলে তিনি মন্তব্য করেন। বোরো ধানের এবার কেমন ফলন হয়েছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের কৃষক আসাদুজ্জামানের ব্রি- ৮১ জাতের ধানের শস্য কর্তন করা হয়েছে। ওই কৃষকের হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ৬.৮৫ টন।
তিনি বোরো ধানের এমন ফলন আশাতিত বলে মন্তব্য করে বলেন, সুষ্ঠুভাবে আবাদকৃত বোরো ধান প্রতিটি কৃষক সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে পারলে অত্র উপজেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।
এমন ফলন পেয়ে কৃষক আসাদুজ্জামানও বেশ খুশী। তিনি বলেন, কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক সময়ে জমি তৈরি থেকে শুরু করে সেচ,সার ও বালাই নাশক প্রয়োগ করে তিনি এমন উচ্চ ফলন পেয়েছেন। ব্রি-৮১ ধান আগাম কাটা যায়। যে কারণে ঝড়বৃষ্টির এই মৌসুমে পাকা ধান ঘরে তুলতে সহজ হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষক আসাদুজ্জামানের বোরো ধান কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আবুল হাসান ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার রিপন কুমার ঘোষ।
এ সময় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মারুফুল হক,মোঃ হাসানুজ্জামান ,উপজেলা পরিসংখ্যন অফিসের কর্মকর্তা দীনবন্ধু মিত্র,কৃষক আসাদুজ্জামান ও স্থানীয় কৃষক-কৃষাণীরা উপস্থিত ছিলেন।