প্রকাশ: ১৩ মার্চ, ২০২১ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : প্রায় ১১ হাজারের মত ভাটার ও ১৫টি গ্রাম নিয়ে গঠিত মণিরামপুর উপজেলার ২নং কাশিমনগর ইউনিয়ন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সারা দেশের মধ্যে প্রথম ধাপে ৩৭১ টি ইউনিয়নের নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর সারা দেশের মত মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনী হাওয়া বেশ জোরে সোরে বইছে।
পরবর্ত্তী যে কোন ধাপে মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়ন বাদে ১৬টি ইউনিয়নের নির্বাচন হতে পারে এমন ধারনা পেয়ে প্রতিটি ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান,সাধারন সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদ প্রার্থীরা বেশ জোরে-সোরেই নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পাবার লক্ষ্যে বিশেষ করে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় লবিং-গ্রæপিংয়ে বেশ তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে। বিভিন্ন সুত্র মতে, ১৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রায় শতাধিক সম্ভ্যাব্য প্রার্থী এলাকায় গনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিটি ইউনিয়নের গ্রাম-গঞ্জ,হাট-বাজার ও এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দোয়া ও আর্শিবাদ চেয়ে ব্যানার-ফেস্টুন সেটেছেন।
বিএনপি’র নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় দেখা দেওয়ায় নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বেশী চাঙ্গা রয়েছে। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটের মাঠ দখলে রাখতে এবং নিজেদের স্ব-স্ব অবস্থান তৈরিতে মোটরসাইকেল শোডাউন ও সভা-সমাবেশ করছেন বলে বিভিন্ন এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার ২ নং কাশিমনগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র কয়েকজন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বিতার লক্ষ্যে নির্বাচনী মাঠে থেকে গনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থীর নামা প্রচারনায় আসলেও দলীয় মনোনয়ন লড়াইয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক স্বপন কুমার দাস, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আশরাফুল আলম মিন্টু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা প্রদীপ কুমার দাস ও আওয়ামী লীগ নেত্রী আসমা খাতুন লাকি এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রধান শিক্ষক তৌহিদ এলাহী মন্টি নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। তবে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তৌহিদুর রহমান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক স্বপন কুমার দাস দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির লবিং-গ্রæপিং তথা মনোনয়ন লড়াইয়ে বেশ এগিয়ে আছেন বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে।
বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন তবে ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আহাদ আলী দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন বলে জানা গেছে। তবে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী ও দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ দিকে দলীয় কোন্দলের কারণে গত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী স্বপন কুমার দাস বিএনপি প্রার্থীর কাছে হেরে যাওয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অনুসারীরা গত শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় কালারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক বিশেষ সভায় মিলিত হন।
দলীয় ঐক্য গঠনের লক্ষ্যে ইউনিয়ন আওয়ামলীগ সভাপতি চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এ সভায় সম্ভাব্য আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামীলীগ নেতা তৌহিদুর রহমান, স্বপন কুমার দাস, আশরাফুল আলম মিন্টু, আসমা খাতুন লাকি এবং তৌহিদ এলাহী মন্টিসহ ইউনিয়ন আওয়ামীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক চলাকালে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হলেও তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ জনপ্রিয়তা বিবেচনায় সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমানের দলীয় মনোনয়নের পক্ষে ব্যাপক গনসংযোগ অব্যাহত রাখায় মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর দুই প্রার্থী স্বপন দাস ও আশরাফুল আলম মিন্টুর পক্ষের কর্মী-সমর্থকেরা এখন বেশ তৎপর হয়েছে বলে দলীয় একাধিক সুত্র থেকে জানা গেছে। বিএনপি যদি নির্বাচনে না যান সেক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বিতা করবেন এমন ধারনা করছেন কাশিমনগর ইউনিয়নের সচেতন ভোটার সাধারনগন।
সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশাপাশি এই ইউনিয়নের সাধারন ৯টি ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে প্রায় অর্ধশতাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে আগাম প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। ফলে আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার ২নং কাশিমনগর ইউনিয়নে সম্ভাব্য প্রার্থী ও ভোটার সাধারনের মাঝে নির্বাচন নিয়ে বেশ প্রাণ চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।