প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১২:০১ অপরাহ্ন
নীলফামারী থেকে জয়নাল আবেদীন : দেশব্যাপী সংস্কৃতি চর্চার বিকাশ ও প্রসারে ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বসন্ত উৎসব নীলফামারীতে পালিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্ত্বরে বেলুন উড়িয়ে কেক কেটে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। পরে বিকাল চারটার দিকে জেলা শহরে অবস্থিত ডিসি গার্ডেনে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও জেলা প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জোনাব আলী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ জাহাঙ্গীর কবীর, উত্তরা ইপিজেডের জেনারেল ম্যানেজার নাহিদ মুনসী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার নাহিদ হাসান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন, জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অক্ষয় কুমার রায়, সচেতন নাগরিক কমিটি সনাকের সভাপতি তাহমিনুল হক ববী, দৈনিক কালেরকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি ভূবন রায় নিখিল, এটিএন নিউজ’এর জেলা প্রতিনিধি মিল্লাদুর রহমান মামুন, ডিমলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, জলঢাকা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, জেলার ৬ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ও পরিবার পরিজন সহ বিভিন্ন স্তরের অতিথি বৃন্দ।
উল্লেখ যে, জাতীয় সংস্কৃতির গৌরবময় বিকাশকে অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিল্পকলার চর্চা ও বিকাশের উদ্দেশে ১৯৭৪ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি বিশেষ আইন দ্বারা এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তিতে জাতীয় সংস্কৃতির গৌরবময় বিকাশকে জাতীয় আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে গৃহীত “বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আইন ১৯৭৪” (১৯৭৪ সালের আইন নং ৩১) অনুসারে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে জেলা শিল্পকলা একাডেমীসমূহ একটি “কার্য নির্বাহী” কমিটি কর্তৃক পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসন পদাধিকার বলে উক্ত কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রত্যেক জেলায় একজন কালচারাল অফিসার রয়েছেন, যিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের লালন ও বিকাশে এই একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।