প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারী, ২০২১ ২০:৪৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর অপরাজনীতি নিয়ে রোববার ও মঙ্গলবার ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন দিয়েছিলাম। হাইকমান্ডের নির্দেশে আমি সে কর্মসূচি প্রত্যাহার করলাম। হাইকমান্ডের বাইরে আমি কিছুই করতে পারব না। তাহলে আমি আমার আদর্শ থেকে বিচ্যুতি হব। তবে সাহস করে যে সত্য কথাটা বলছি- এটা থেকে সরবো না।
শুক্রবার বিকালে বসুরহাট রূপালী চত্বরে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, কাল (শনিবার) নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভার ভোট। এ ভোটে যদি কোনো অনিয়ম করা হয়, সেখানে যদি ভোট ডাকাতি করা হয় তাহলে নোয়াখালীর এমপি একরামের গৃহপালিত ডিসি-এসপি আপনাদের জবাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, চৌমুহনীতে হেরে গেলে শেখ হাসিনার গদি চলে যাবে না। গদি যাবে তিন বছর পরের ভোটে। এ তিন বছর সঠিকভাবে কাজ করলে আগামী নির্বাচনেও (জাতীয় সংসদ নির্বাচন) ওভারকাম করবে।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনের টিমওয়ার্ক নাই। মন্ত্রীকে (ওবায়দুল কাদের) রাজাকার বলার পরও কেন্দ্রীয় নেতারা ওই সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলতে পারেন? হুশা-হুশি করেন, হুশা-হুশি করে বাঁচতে পারবেন। কেন্দ্রীয় নেতারা নাকি কারও কারও হিছের রুমে (পেছনের রুমে) গিয়ে দেখা করে। আবার দোতলায়ও গেছে।
কাদের মির্জা বলেন, কেউ কেউ বলছে আমি নাকি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলছি। এটা ঠিক নয়- আমি বলেছি, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম রাজনীতি চালাতে সহযোগিতা নেন। আমিও সহযোগিতা নিয়ে রাজনীতি করি।