ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া কাংখিত উন্নয়ন সম্ভব নয়: স্বপন ভট্টাচার্য্য


প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:৪৭ অপরাহ্ন


নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া কাংখিত উন্নয়ন সম্ভব নয়: স্বপন ভট্টাচার্য্য

স্টাফ  রিপোর্টার: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে নারী সমবায় সমিতির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সদস্য হিসেবে নারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এ অবস্থা হতে উত্তরণে তিনি  নারীর ক্ষমতায়নে সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটিতে নারী কোটার ব্যবস্থা প্রবর্তনের কথা বলেন। অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে নারীদের অংশগ্রহণে সমবায় অধিদপ্তর কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনা প্রদান করেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচাৰ্য্য আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ডুমুরিয়া  উপজেলার শাহাপুরে  জনতা আদর্শ বহুমুখী সমবায় সমিতি এর উদ্যোগে আয়োজিত সমবায়ী সমাবেশে  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসকল কথা বলেন।

সমবায়ী সমাবেশে তিনি আরও বলেন, নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া দেশে কাংখিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। সমবায় সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণ বেশি হলে দুর্নীতি আরও কমবে। কাজ বেশি হবে, প্রতিটি পরিবার উপকৃত হবে। সমবায় অধিদপ্তর দুগ্ধ সেক্টরে নারী সমবায়ীদের নিয়ে যে প্রকল্প বান্তবায়ন করছে তাতে নারীদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ক্ষমতায়নও ঘটছে। তবে সমবায় সমিতিতে নারীদের অংশগ্রহণ এখনও আশানুরূপ নয়। ডুমুরিয়াতে প্রায় ৩০০ কার্যকর সমবায় সমিতি থাকলেও মহিলা সমবায় সমিতির সংখ্যা ১০টির ও কম। এর থেকেই বোঝা যায় যে, সমবায়ে নারীদের অংশগ্রহণ এখনও আশানুরূপ নয়।  প্রথম নিয়োগকৃত ব্যবস্থাপনা কমিটিতে এবং পরবর্তী সময়েও এ্যাডহক কমিটি কিংবা নির্বাচিত কমিটি গঠণের সময়েও নারী নেতৃত্বের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সরকার মনোনীত সদস্য নিয়োগকালে অবশ্যই নারী সদস্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ ব্যাপারে সমবায় অধিদপ্তরকে কাজ করতে হবে।

স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ এবং জাতীয় সমবায় নীতিমালা-২০১২ আমরা প্রণয়ন করেছি। সমবায় সমিতি আইন আবার ২০১৩ সালে সংশোধন করে যুগোপযোগী করেছি। সমবায় সমিতি বিধিমালা, ২০০৪ (সংশোধন, ২০২০) প্রণয়ন করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে বর্তমানে আইন ও বিধি উভয়ই সমবায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুগোপযোগী ও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।


 তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন আর সে দেশকে ‘শোষণহীন সোনার বাংলা’ গড়ার জন্য প্রতি গ্রামে বাধ্যতামূলক সমবায় গড়ার এবং জমিতে যৌথ চাষের ঘোষণা দেন। তার নির্মম হত্যাকাণ্ডে সে সংস্কার প্রক্রিয়া থেমে যায়। দেশি ও বিদেশি চক্র সময়ের ব্যবধানে নানা কৌশল খাটিয়ে, বিভিন্ন এনজিও সহায়ক সংগঠনের নাম ধারণ করে উৎপাদন সেক্টরে সমবায়কে হটিয়ে কাজ করার সুযোগ গ্রহণ করে। তবে মাননীয় প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে সমবায় আবার তার হারানো সুদিন ফিরে পেতে শুরু করেছে। সমবায়ের মাধ্যমে এখন অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। সমবায় সেক্টরের চলমান উন্নয়নের ধারা যাতে বাঁধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই অসদস্যের সাথে আর্থিক লেনদেন করা যাবে না। এ ব্যাপারে স্থানীয় সমবায় দপ্তরকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মো.আব্দুল ওয়াদুদ এর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি  পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবে রেজাউল আহসান, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক আমিনুল ইসলাম, খুলনা বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম-নিবন্ধক মিজানুর রহমান সহ বিভিন্ন সমবায়ী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।  

 


   আরও সংবাদ