প্রকাশ: ৯ নভেম্বর, ২০২০ ২১:৩৭ অপরাহ্ন
চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের সদর ঝাউদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র আলামিন হোসেন (১৩) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্র ৩ দিন যাবৎ নিখোঁজ রয়েছে। চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মালায়েশিয়া প্রবাসী আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।
এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে নিখোঁজ ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে যশোর কতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডাইয়েরী করা হয়েছে।নিখোঁজ আলামিনের পিতা আবু বকর সিদ্দিক মালায়েশিয়া থেকে ম্যাসেঞ্জারে জানান, আমার ছেলে আলামিন দুবছর যাবৎ লেখাপড়ার সূত্রে যশোরের “মাদিনাতুল উলুম মহিউসসুন্নাহ ঝাউদিয়া মাদ্রাসা”য় থাকে।
সেখানে ও লজিং বাড়ি খাওয়া-দাওয়া করে। কিন্তু মাদ্রাসা হুজুর শনিবার বেলা ১১ টার দিকে আমার বাড়িতে মোবাইল করে বলেন, আলামিন লজিং বাড়ি খেতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি সে কি গ্রামের বাড়িতে গেছে ?। এই সংবাদে পরিবারের পক্ষ থেকে সে যেতে পারে এমন বিভিন্ন আত্মীয় বাড়িতে খোঁজা-খুঁজি করেও পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, দুই দিন আগে আমার বাড়িতে একটি অজানা মোবাইল নম্বর থেকে বলে দুইটি ছেলে একসিডেন্ট করে চুয়াডাঙ্গা ইমা ক্লিনিকে ভর্তি আছে। কিন্তু সেখানে খোঁজ খবর নিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তার পর থেকে ঐ নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
থানা সূত্রে জানা যায়, নম্বরটি খুলনা এলাকায় ব্যবহার হয়েছে। তবে কেউ ছেলেটির খোঁজ পেলে ০১৭৬৩১৬১৫৫০/০১৭৪৩৯৯৭৭৫৪ নম্বরে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদিনাতুল উলুম মহিউসসুন্নাহ ঝাউদিয়া মাদ্রাসার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত হুজুর শহিদুল্লাহ বলেন, গত শনিবার (৭ নভেম্বর) লজিং বাড়িতে সকালের খানা খেতে গিয়ে মাদ্রাসার দুই ছাত্র আলামিন হোসেন ও আব্দুর রহিম আর ফিরে আসেনি।
তারা গ্রামের বাড়িতে যেতে পারে এ জন্য তাদের বাড়িতে মোবাইল করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় তারা বাড়ীতে আসেনি। সেই থেকে তাদের পরিবার ও আমরা বিভিন্ন স্থানে তাদেরকে খেুাঁজা-খুঁজি করেও পায়নি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সদর থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে ছিলাম। থানা থেকে হারানো দুই ছাত্রের অভিভাবকসহ যেতে বলেন। পরে অভিভাবরা নিজেরাই অভিযোগ করেছেন। ইতিমধ্যে থানা থেকে দুই জন পুলিশ মাদ্রাসায় এসে ছিলেন।
যশোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান মাদ্রাসা ছাত্র হারানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই বিষয়ে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে জিডি করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তবে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।