ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

মণিরামপুরে বিএনপির দু-গ্রপের সংঘর্ষে আহত ১৫


প্রকাশ: ৮ নভেম্বর, ২০২০ ২২:০৪ অপরাহ্ন


মণিরামপুরে বিএনপির দু-গ্রপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মণিরামপুর সংবাদদাতা:মণিরামপুরে যুবদলের কর্মী সমাবেশে বিএনপি’র বর্তমান সভাপতি এ্যাড. শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন ও সাবেক সভাপতি মোঃ মুছা গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্ততঃ ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।

রবিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যুবদলের কর্মী সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয়-বিভাগীয় ও যশোর জেলা নেতৃবৃন্দ চলে যাওয়ার পরপরই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উক্ত সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় গ্রুপের নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করেছেন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পৌর শহরে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

জানা যায়, গতকাল রবিবার বিকেল ৩টা থেকে স্থানীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মিলনায়তনে যুবদলের কর্মী সমাবেশ শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি আলী আকবর চুন্নু। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মহসিন মোল্লা ও সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বারসহ খুলনা বিভাগীয় এবং যশোর জেলা নেতৃবৃন্দ। কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যশোর  জেলা যুব দলের সভাপতি এম.তমাল আহম্মেদ।

মণিরামপুর উপজেলা যুবদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু দাবী করেন, শীর্ষ নেতারা কর্মী সমাবেশ শেষে চলে যাওয়ার পরপরই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোঃ মুছা পক্ষের লোকজন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. শহীদ মোঃ  ইকবাল হোসেনের পক্ষের নেতা-কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় শহীদ ইকবাল পক্ষের রাকিব হোসেন, সাজিদ হোসেন, রবিউল ইসলাম ও শাহাদৎ হোসেনসহ ১০/১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবী করা হয়। আহতদের মধ্যে রাকিব ও সাজিদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সন্ধ্যার পর তাদেরকে চিকিৎসার জন্য যশোরে নেয়া হয়েছে।

অপরদিকে, বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোঃ মুছা পক্ষের নেতা জাহাঙ্গীর বিশ্বাস দাবী করেন, তাদের পক্ষের নেতা-কর্মীরা বড় একটি বহর নিয়ে সমাবেশে যোগদান করায় এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের পিছে পিছে চলাচল করাতে  শহীদ ইকবাল পক্ষের লোকজন পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে অশুভ আচরণসহ তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাদের পক্ষের সোহাগ, ইউসুফসহ অনেকেই আহত হয়। মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বিএনপি’র দু’গ্রুপের মধ্যে মারা-মারির খবর জানার সাথে সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাসহ পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে পৌর শহরে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

 


   আরও সংবাদ