ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

সাতক্ষীরায় শিশুসহ পরিবারের চারজনকে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা


প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর, ২০২০ ১৯:৫৮ অপরাহ্ন


সাতক্ষীরায় শিশুসহ পরিবারের চারজনকে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা

সাতক্ষীরা থেকে শিমুল : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই পরিববারের চার জনকে কুপিয়ে ও জবাই করে  হত্যা করেছে দূর্বত্তরা। ভোররাতে উপজলোর হেলাতলা ইউনয়িনের খলিসখালী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। 

নিহতরা হলেন, খলসি গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে হ্যাচারি মালিক শাহিনুর রহমান (৪০), তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩০), ছেলে সিয়াম হোসেন মাহি (৯) ও মেয়ে তাসনিম (৬)। নিহত শাহিনুর রহমানের ছোট ভাই রায়হানুল ইসলাম জানান, বাড়িটিতে তাঁর মা ও বড় ভাইয়ের পরিবারের চারজনসহ তাঁরা সাত জন থাকতেন।

তাঁদের মা গতকাল (বুধবার) এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। তিনি (রায়হানুল) ছিলেন পাশের ঘর। ভোর পাশের ভাইয়ের ঘর থেকে তিনি গোঙানির শব্দ শুনতে পান । তিনি গিয়ে দেখতে পান  ঘরের বাইরে থেকে দরজা আটকানো আছে। এসময় শতশত উৎসুক জনতার সন্মুখে দরজা খুলে দেখতে পান বীভৎস এ দৃশ্য। 

জানাগেছে তখনো একটা শিশু বেঁচে ছিল। সেও কিছুক্ষণ পরে মারা যায়। তিনি জানান, ৪ মাস বয়সী শিশু আফরিন বাদে বাকী ৪ জনকেই হত্যা করা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, তাদর সাথে জমি জায়গা নিয়ে পাশের কিছু লোকের বিরোধ চলে ছিল। কিন্তু কারা এ ঘটনা ঘটালো তা এখনই বুঝতে পারছেনা বলে তিনি আরো জানান। এদিকে, একই পরিবারের ৪ জনকে হত্যার ঘটনায় পরিবারের স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম। গোটা উপজেলা ব্যাপী নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব-ওসি) হারান পাল জানান, আজ বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জম হোসেন পুলিশকে খবর দেন। 

তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি বাড়িতে রাতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা  ঘরের ভিতর থেকে কোন কিছু না নিয়ে একই পরিবারের চার সদস্যকে হত্যা করেছে। তবে ৪ মমাসের শিশু সন্তান অক্ষতভাবে আছে। খবর পেয়ে তিনি (ওসি) সঙ্গীয় পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। 

তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনের লাশ দেখতে পায়। চারজনকেই কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বাড়ি থেকে কোন জিনিসপত্র খোয়া যায়নি।  

অফিসার ইনচার্জ হারান পাল আরো জানান, কী কারণে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে, কারো এই ঘটনা ঘটালো, তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতি করার জন্য নয়, পরিকল্পিত ভাবেই এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। পুলিশি তদন্তে প্রকৃত হত্যাকারীরা সনাক্ত ও আটক হবে এবং আইনে প্রক্রিয়া দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি পাবে এমনটা প্রত্যাশা সচেতন জনগণের।


   আরও সংবাদ