ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপিত হলে শহরে আবর্জনা থাকবে না : তাজুল ইসলাম


প্রকাশ: ২১ অগাস্ট, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপিত হলে শহরে আবর্জনা থাকবে না : তাজুল ইসলাম

   

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে আমিন বাজারে নির্মিতব্য দেশের প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপিত হলে ঢাকা শহরের রাস্তা-ঘাট এবং খাল-বিলসহ যত্রতত্র ময়লা পড়ে থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

আজ শনিবার (২২ আগস্ট) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন আমিন বাজারে অবস্থিত ডাম্পিং স্টেশন এবং গাবতলীর মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপিত হলে সেখানে প্রতিদিন তিন হাজার টন ময়লা-আবর্জনা প্রয়োজন হবে। এত পরিমান ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে বিদ্যুৎ প্লান্ট দিলে ঢাকা শহরের যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ আর থাকবে না।

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পটি তাঁর স্বপ্নের প্রজেক্ট উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই প্রজেক্টে কোন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।

বিদেশি একটি কোম্পানির সাথে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চুক্তি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, চুক্তি হওয়ার ১৮ মাসের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। যদিও তারা এর থেকে কিছুটা সময় বেশি চেয়েছেন। চুড়ান্ত চুক্তির সময় এই বিষয়টি ফয়সালা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

পরিবেশের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্লান্টের পাশে একটি ইকো পার্কও নির্মাণ করা হবে।

তিনি জানান, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ দেশের সকল শহরকে পরিচ্ছন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই পরিচ্ছন্ন শহর গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

রাজধানীতে অবস্থিত যে সকল হাসপাতাল রয়েছে তাদের বর্জ্য নিঃশেষ করার জন্য নিজস্ব ডিস্পোজাল প্লান্ট নেই কেন এমন প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোর নিজস্ব ডিসপোজাল প্লান্ট থাকলে তাদের যে মেডিকেল বর্জ্য রয়েছে সেগুলো নিঃশেষ করা সম্ভব হতো।

মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, শহরকে পরিচ্ছন্ন করতে বর্তমান যন্ত্রপাতির পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন যে সমস্ত জায়গা অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে সেগুলো অতিদ্রুত দখলমুক্ত করা হবে।

এসময়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এবং সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত।


   আরও সংবাদ