ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

৪০টি স্থাপনায় মিললো এডিসের লার্ভা, ১৯ মামলায়সহ ৩১ হাজার টাকা জরিমানা


প্রকাশ: ১২ অগাস্ট, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


৪০টি স্থাপনায় মিললো এডিসের লার্ভা, ১৯ মামলায়সহ ৩১ হাজার টাকা জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার : এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী বছরব্যাপী মশকনিধন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এরই অংশ হিসাবে কয়েকটি পর্যায়ে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের (চিরুনি অভিযান) সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

গত ৬-১৫ জুন প্রথম ও ৪-১৪ জুলাই দ্বিতীয় পর্যায়ের সফল চিরুনি অভিযান শেষে ৮ আগস্ট থেকে তৃতীয় পর্যায়ের ১০ দিনব্যপী চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। চিরুনি অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

তৃতীয় পর্যায়ের ১০ দিনব্যাপী বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের চতুর্থ দিনে আজও সকাল ১০টা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে বিশেষ এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়েছে। 

আজ বুধবার (১২ আগস্ট) মোট ১৩ হাজার ৯৪ টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ৪০ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭ হাজার ৬০৪ টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে সেসকল স্থানে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। এসময় ১৯ টি মামলায় মোট ৩১ হাজার ৮০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে। 

আজ উত্তরা অঞ্চল-১ এর অধীনে মোট ১হাজার ১৬৬ টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৯১৬টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। তবে কোন জরিমানা করা হয়নি। 

মিরপুর অঞ্চল-২ এর অধীনে মোট ২হাজার ৭২৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে কোনটিতেই এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি, তবে ৩০৮ টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাসার বাহিরে মাস্ক ব্যাবহার না করার অপরাধে ১৩টি মামলায় মোট ১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। 
 
মহাখালী, অঞ্চল-৩ এর অধীনে মোট ১ হাজার ৬২৪ টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২০ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৯১৫ টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে ১টি নিয়মিত মামলা ব্যবস্থা গ্রহণসহ ৫টি মামলায় মোট ২০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 

মিরপুর ১০, অঞ্চল-৪ এর অধীনে মোট ১হাজার ৩৩৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়, তবে কোন জরিমানা করা হয়নি। এছাড়া ৭২৮টি বাড়িও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।  

কারওয়ান বাজার, অঞ্চল-৫ এর অধীনে মোট ২ হাজার ৪২৩টি বাড়িও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৮৪৪ টি বাড়িও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

হরিরামপুর, অঞ্চল-৬ এর অধীনে মোট ১হাজার ১৮৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১হাজার ৩২ টি বাড়িও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

দক্ষিণখান অঞ্চল-৭ এর অধীনে মোট ৮৩১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৬৪১টি বাড়িও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

উত্তরখান অঞ্চল-৮ এর অধীনে মোট ৭২৪ টি বাড়িও স্থাপনা পরিদর্শন করে কোন স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে ৪৭৭ টি বাড়িও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

ভাটারা অঞ্চল-৯ এর অধীনে মোট ৪৮৭ টি বাড়িও স্থাপনা পরিদর্শন করে কোনটিতেই এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে ২৯২ টি বাড়িও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।  

সাঁতারকুল অঞ্চল-১০ এর অধীনে মোট ৫৯৩টি বাড়িও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছারা ৪৫১ টি বাড়িও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উল্লিখিত সকল সম্ভাব্য এডিস মশার প্রজন স্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

তৃতীয় পর্যায়ের অভিযানের এই চার দিনে মোট ৫২ হাজার ৮৭০টি বাড়িও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৮৪ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং চার দিনে মোট ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান আগামীকালও অব্যাহত থাকবে। 


   আরও সংবাদ