ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

"করোনাকালেও থেমে নেই উন্নয়ন প্রকল্পের কেনাকাটা" সংবাদের প্রতিবাদ


প্রকাশ: ১৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন



স্টাফ রিপোর্টার : আজ দেশের অন্যতম বেসরকারি চ্যানেল আরটিভির দুপুরের সংবাদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে জড়িয়ে "করোনাকালেও থেমে নেই উন্নয়ন প্রকল্পের কেনাকাটা" শীর্ষক সংবাদ প্রচারিত হয়েছে, যা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

উক্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় মনে করে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। এ মিথ্যা প্রতিবেদনের মাধ্যমে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কে দেশের সাধারণ জনগণকে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ মিথ্যা প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

উক্ত প্রতিবেদনে আনীত বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য নিম্নরূপ-

১. ডিপিপিতে প্রতিটি লিফটের দাম ২কোটি টাকা ধরা হয়েছে। 
প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, উক্ত প্রকল্পের আওতা য় ৭ টি কেন্দ্রের জন্য মোট ২১ টি লিফট কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ৩ টি লিফট কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। ডিপিপিএর প্রাক্কলন ইউনিট রেট অনুযায়ী ইউরোপীয়ান এ ক্যাটাগরীর ৩ টি লিফটের মূল্য ১৯৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। অর্থাৎ একটি লিফটের মূল্য ৬৫ লক্ষ টাকা (ভ্যাট ট্যাক্সসহ) যা গণপূর্ত রেট শিডিউল ২০১৮ অনুসারে সঠিক। 

২. প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রতি টন এসির দাম ৫২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। 

এ তথ্য সঠিক নয়। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ৫০ টন এসি কেনার প্রস্তাব করা  হয়েছে। ৫০ টন এসির জন্য ধরা হয়েছে ৫২ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ প্রতি টন এসিতে খরচ পড়বে এক লাখ ৪ হাজার টাকা (ভ্যাট ট্যাক্সসহ)। যা গণপূর্ত রেট শিডিউল ২০১৮ অনুসারে ইউরোপীয়ান স্প্লিট টাইপ এসি ও এর সাথে প্রয়োজনীয় অন্যান্য যন্ত্রাংশ এর চার্জ সহ সঠিক।

৩. ডিপিপিতে সভাকক্ষের টেবিল ১২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে,  ডিপিপিতে প্রতিটি টেবিলের মূল্য ধরা হয়েছে এক লাখ ২ হাজার টাকা। 

৪. ডিপিপিতে সিকিউরিটি ও গেট লাইটের জন্য ১২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। 

আলোচ্য অভিযোগের ব্যাখা সংযুক্ত বিবরণীর মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। এই অঙ্গে গার্ডেন লাইট, গেইট লাইট, সিকিউরিটি লাইট, কম্পাউন্ড লাইট, স্ট্রিট লাইট, পোল, আন্ডার গ্রাউন্ড ক্যাবল সহ দর ধরা হয়েছে। 

এছাড়াও প্রতিবেদনে আনীত প্রতিটি অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ব্যাখা সংযুক্ত বিবরনীতে দেওয়া আছে। উক্ত প্রতিবেদন প্রচারের পূর্বে প্রতিবেদক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য গ্রহন করেন নাই। যা সাংবাদিকতার প্রথাগত নিয়মের ব্যতিক্রম।

রিপোর্টে বলা হয়েছে,  করোনা কালে উন্নয়ন প্রকল্পের কেনাকাটা, এটি সঠিক নয়। এ প্রকল্পটি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে (বিগত সরকারের মেয়াদে) তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

এমতাবস্হায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় মনে করে, এ অসত্য প্রতিবেদনের মাধ্যমে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে। বিধায় উক্ত বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রত্যাহার পূর্বক এ প্রতিবাদ আপনার চ্যানেলে বারবার প্রচারের জন্য যথাযথ কতৃপক্ষ কতৃক আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো। 


   আরও সংবাদ