প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা) বিবিএ অনুষদের ৩১ ব্যাচের শিক্ষার্থী কামরুল হুদা মাহমুদ গত ৬ই ফেব্রুয়ারি সিলেট থেকে ঢাকায় আসার পথে নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
দুর্ঘটনার পর তাকে ঢাকার লালমাটিয়ার বারী ইলিজার্ভ অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউটে (হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। সেদিনই তার বাম পায়ে অপারেশন করা হয়। তার ১০দিন পর বারী ইলিজার্ভ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এরপর পঙ্গু হাসপাতালে কামরুল মাহমুদকে ভর্তি করা হয়। সকল পরীক্ষা নিরীক্ষার পর পঙ্গু থেকে জানানো হয়, তার সম্পূর্ণ পায়ে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় রোগীকে বাঁচাতে হলে তার সম্পূর্ণ পা কেটে ফেলতে হবে। গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক পা কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল দুপুরে অপারেশন করে তার পা কাটা হয়।
তার অবিভাবক ও বন্ধুদের থেকে জানা যায়, তার পায়ের অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না যে পা কেটে ফেলতে হবে। প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তার রক্ত নালি ঠিক আছে এবং ৯৭% ব্লাড সার্কুলেশন ছিল। কিন্তু তার কিছু দিন পরেই তার শরীর আরো অবনতির দিকে যায় এবং সম্পূর্ণ শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে। তার ভার্সিটি (ইউডা) কর্তৃপক্ষ ও পরিবারের দাবি ১০দিন অপেক্ষা না করে তাৎক্ষণিক কেন পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হলো না! তাহলে কি রোগীদের জীবন চিকিৎসকদের কাছে মূল্যহীন?
আগামী শনিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, কামরুল মাহমুদের পরিবার ও সাধারণ মানুষ মিলে একটি মানববন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উক্ত মানববন্ধনে সকল শিক্ষার্থীদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
জানা গেছে, কামরুল হুদা মাহমুদ এর গ্রামের বাড়ি সিলেট জেলায়। সে ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে। গত ৬ই ফেব্রুয়ারি গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে ঢাকায় আসার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়।