প্রকাশ: ২৩ অগাস্ট, ২০২৫ ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ বাহিনী গড়ে তুলতে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। সমাজ ও মানুষের প্রয়োজনের সঙ্গে আনসার ও ভিডিপি বাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত।
তিনি বলেন, এতে বাহিনীতে কোনো অদক্ষ সদস্য স্থান পাবে না। নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আনসার বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। বিশেষ করে কেপিআই নিরাপত্তায় এ প্রশিক্ষণ নতুন মাত্রা যোগ করবে।
আজ শনিবার গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত পিসি ও এপিসিদের সতেজকরণ প্রশিক্ষণের (৫ম ধাপ) সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ, উপ-মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ) রফিকুল ইসলাম, একাডেমি কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ নুরুল আবছারসহ বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বাহিনীর মহাপরিচালক বলেন, আনসার বাহিনীর শুধু সংখ্যাগত উপস্থিতি নয় বরং নিরাপত্তা সেবার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য এই সতেজকরণ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত দক্ষতা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। এ ছাড়া গ্রামীণ জনপদ থেকে শুরু করে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যন্ত নিরাপত্তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের অঙ্গীকার নিয়ে এই বাহিনী কাজ করছে।
তিনি বলেন, এবারের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গত ১০ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ হাজার ১৬০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে ১ হাজার ১৩৬ জন সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন। প্রশিক্ষণকালীন সময়ে মৌলিক শরীরচর্চা, অস্ত্র ও সাধারণ ড্রিল, শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, দায়িত্ব ও শৃঙ্খলা, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, সংগঠন ও বিধি-বিধান, সামাজিক সচেতনতা, মাদকবিরোধী কার্যক্রম, নারী ও শিশুর সুরক্ষা, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদান করা হয়।
আনসার মহাপরিচালক বলেন, জনগনের আকাঙ্খা পুরনে আগামীতে আনসার ভিডিপি সদস্যরা আস্হার স্বাক্ষর রাখতে সুপ্রশিক্ষিত ও সক্ষমতা অর্জন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অনুষ্ঠানের শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া প্রশিক্ষণে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়। তারা হলেন- তরিকুল ইসলাম, মো. বারিক এবং মাইনুল ইসলাম।