Severity: Warning
Message: mysqli::real_connect(): Headers and client library minor version mismatch. Headers:100324 Library:30120
Filename: mysqli/mysqli_driver.php
Line Number: 201
Backtrace:
File: /home/bnnews24/public_html/application/controllers/SS_shilpi.php
Line: 6
Function: __construct
File: /home/bnnews24/public_html/index.php
Line: 316
Function: require_once
প্রকাশ: ২৪ জুন, ২০২২ ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আর মাত্র ২২ ঘণ্টা বাকি। উদ্বোধনকে ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পদ্মা সেতুর ম্যুরাল, কোথাও ব্যানার-পেস্টুনের সাজসোজ্জায় ছেঁয়ে গেছে। রাজধানীর রাস্তার চার পাশ যেন পদ্মার সুভাস ছড়িয়ে দিচ্ছে। এছাড়া স্বপ্নের সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে সরকারী, আধা-সরকারী স্থাপনাগুলোও আলোক সজ্জার চাদরে মুড়ে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাজধানীর গণভবন, বঙ্গভবনের সামনে রাস্তার দুই পাশে, আগারগাঁও, সংসদ ভবন, বিজয় সরণি, ঢাকা মেডিকেল, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (টিএসসি) এলাকা, শাহবাগ, মতিঝিল, যাত্রবাড়ী, জুরাইনসহ রাস্তার দুই পাশ ছেয়ে গেছে ব্যানার-পেস্টুনে।
পাশাপাশি নিরাপত্তার কোনো কমতি রাখেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। মাওয়ার দিকে যেতে মোড়ে মোড়ে আইন-শৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান চোখে পড়ার মত। স্থানে স্থানে তঁল্লাশি করতেও দেখা যাচ্ছে। এছাড়া মালবাহী ট্রাক প্রবেশেও নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে।
দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও রাজধানীজুড়ে প্রধানমন্ত্রী ও পদ্মকন্যা শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে জায়গায় জায়গায় গেট করে পোস্টার-ব্যানার লাগিয়েছেন। এ উপলক্ষে সুসজ্জিত করা হয়েছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয় সড়কও। অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা বার্তার ব্যানারে ভাসছে এক্সপ্রেসওয়েটি। এছাড়া সেতুটির দু’পাড়েও সাজসজ্জায় পরিপূর্ণ।
আর মাত্র একটি রাত অপেক্ষার পরেই উদ্বোধন করা হবে পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রী ও পদ্মকন্যা শেখ হাসিনা দেশের সর্ববৃহৎ এই সেতু উদ্বোধন করবেন। সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া-জাজিরা প্রান্তে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে বিদেশি কূপনৈতিকদের ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ রাষ্টীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের।
জানা গেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশের জন্য সাড়ে তিন হাজার আমন্ত্রণপত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তবে আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেনি বিএনপি।
সেতুর উদ্বোধনের পর জনসভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভার জন্য তৈরি করা হয়েছে ১৫০ ফিট দৈর্ঘ্য একটি বিশাল মঞ্চ। সেই সভার মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে পদ্মা সেতুর আদলেই। মঞ্চের ঠিক সামনে পানিতে ভাসতে থাকবে বিশাল আকৃতির একটি নৌকা। তার পাশে ১১টি পিলারের ওপর ১০টি স্প্যান বসিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মঞ্চ। দেখে মনে হবে সেতুর পাশ দিয়ে বড় একটি নৌকা চলছে।
স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, দশ লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণের জন্য প্রায় ১৫ একর জায়গা জুড়ে নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি। প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়। দশ লক্ষাধিক মানুষের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী ৫শত টয়লেট, ভিআইপিদের জন্য থাকছে ২২টি আলাদা টয়লেট। রয়েছে পর্যাপ্ত পানির সু-ব্যবস্থা। সুপেয় পানির জন্য থাকছে অসংখ্য পানির ট্যাপ। নারীদের জন্য আলাদা বসার জায়গা, তিনটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল, সভাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানের দর্শকদের জন্য থাকছে ২৬টি এলইডি মনিটর, ৫০০ মাইকসহ অত্যাধুনিক সাউন্ডসিস্টেম।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও জনসভাকে ঘিরে সারা দেশসহ পদ্মার দুই পাড়ে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্ত। ইতোমধ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের স্থানসহ আশপাশের এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।
এই নিরাপত্তায় রয়েছে, পুলিশের এলিট ফোর্স র্যা ব, সোয়াস টিম, বোম জিপোজাল টিম, পদ্মায় টহল দিচ্ছে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি টিম। এছাড়া পুলিশের সাদা পোশাকের গোয়েন্দা বাহিনীসহ স্পেশাল ফোর্স।
অনুষ্ঠানকে ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি, সাইবার মনিটরিং এবং পেট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সমাবেশস্থল ঘিরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।
র্যা বের এক কর্মকর্তা বলেন, সেতুর আশপাশে র্যা বের ওয়াচ টাওয়ার, কন্ট্রোল রুম, ডগ স্কোয়াড থাকবে। পাশাপাশি মাঠে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যেকোনো ধরনের গুজব ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।