প্রকাশ: ১৫ জুন, ২০২২ ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর হোচ্ছাম হায়দার উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দেন সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
ভোট প্রদান শেষে পুনরায় নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। যদিও তিনি অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন স্থানে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার খবর তিনি পেয়েছেন।
সাক্কু বলেন, বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্রে আসতে ভোটারদের বাধা দেওয়ার খবর আসছে। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ যা আছে তা বহাল থাকলে বিজয়ে শতভাগ আশাবাদী।
এর আগে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে ৬৪০টি বুথে ভোট হচ্ছে ইভিএমে। এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুইজন।
কুসিকের এটি তৃতীয় নির্বাচন। এবারই কুমিল্লায় প্রথম ইভিএমে ভোট হচ্ছে। এর আগে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুসিকের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সিটির দ্বিতীয় নির্বাচন হয় ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন প্রার্থী। তাদের মধ্যে আলোচনায় বেশি আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাত (নৌকা প্রতীক) এবং গত দুইবারের মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর (টেবিল ঘড়ি প্রতীক) নাম। এই দুজনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্য তিনজন হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম (হাত পাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন (ঘোড়া) ও কামরুল আহসান (হরিণ)। এরমধ্যে মনিরুল হক বিএনপির এবং নিজামউদ্দিন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ছিলেন। বিএনপির সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের দুজনকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী লড়াই করছেন।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে প্রশাসন। নির্বাচনে ১০৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৭৫টি তল্লাশিচৌকি, ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৩০টি টিম, ৫২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের ৩ হাজার ৬০৮ জন সদস্য মাঠে রয়েছেন।
নির্বাচনে ইভিএমে কোনো ধরনের যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে মেরামতের জন্য রয়েছেন ৩৫ জন। ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের সারিতে একটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। প্রতি বুথে (কক্ষে) একটি করে মোট ৬৪০টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। ভোট কক্ষের ভেতরে কোনো এজেন্ট কোনো ভোটারকে তার পছন্দের প্রতীকে ভোটদানে প্রভাবিত করলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।