ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

চৌগাছার তানভির ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ থানায় জিডি


প্রকাশ: ৩১ মে, ২০২১ ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন


চৌগাছার তানভির ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ থানায় জিডি


মোঃ ফখরুল ইসলাম, চৌগাছা  ( যশোর) প্রতিনিধি :

যশোরের চৌগাছার মোহাম্মদ তানভির হোসেন (২৮) নামে এক যুবক ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় ১১ মে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। যার নম্বর- ৬১২। তানভির উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের হাজরাখানা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে। ৮ মে তার শ্বশুর বাড়ি খুলনার ফেরিঘাট রোড এলাকা থেকে সে নিখোঁজ হয়। এ বিষয়ে নিখোঁজের শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তানভিরের পিতা শুকুর আলী জানান, তার দুই ছেলের মধ্যে তানভির ছোট। ৩ বছর আগে সে নারায়গঞ্জে চাকরি করত। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হলে সে খুলনার ফেরিঘাট রোডে বিয়ে করে। পরে ছেলে বৌকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে। আমরা গরীব হওয়ায় বৌমার পছন্দ হয়নি। এক সপ্তাহ থাকার পর ছেলে বৌমাকে নিয়ে নারায়নগঞ্জ চলে যান।

এরপর সেখান থেকে চাকুরি ছেড়ে চলে আসে নওয়াপাড়ায়। দুই বছর ধরে সে নওয়াপাড়ায় মেসার্স নওয়াপাড়া ট্রেডার্সে চাকরি করছিল। নওয়াপাড়াতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকত। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর সাথে তার মনোমালিন্য ছিল। বৌমা ছেলেকে বাড়িতে কোন টাকাপয়সা পাঠাতে দিত না। রোজার মধ্যে ৬ মে ছেলেকে ফোন দিয়ে বলি আমার মটর ও ফ্যান নষ্ট হয়ে গেছে। তুমি এসে মেরামত করে দিয়ে যেও।’ তখন ছেলে বলে ‘আব্বা, ঈদের ছুটিতে এসে ওগুলো ঠিক করে দিয়ে যাব।’ এরপর ৮মে বৌমা ফোন দিয়ে বলে আপনার ছেলে কি আপনাদের ওখানে গেছে ? আমি বলি না কেন ?। তখন বৌমা বলে আপনার ছেলের সাথে আমার ৮ ঘন্টা যোগাযোগ নেই।’ আমি খুলনায় এসেছি। তোমরা তো নওয়াপাড়ায় ছিলে খুলনায় গেলে কখন ? আমাকে তো বলনি। তখন বৌমা আমাকে অনেক কথা শুনিয়ে দেয়। এরপর ছেলের শ্বাশুড়ি, বৌমার ভাই আমাদের ফোন করে নানা ভাবে শাসিয়ে চলেছে। নাটক করলে দশ লাখ টাকার যৌতুক মামলা দেব ইত্যাদি। বৌমার ভাই হুমকি দিয়ে বলেছে, তোমার ছেলে পালিয়েছে, ওকে খুন করে ফেলবো লাশ ধাপের নিচে পাওয়া যাবে। এ ঘটনার পর থেকে আমার ছেলের মোবাইলও বন্ধ রয়েছে।

শুকুর আলী বলেন, এরপর আমি গ্রামের ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মিলনকে নিয়ে খুলনায় ছেলের শ্বশুর বাড়ি যাই। তার শ্বশুর বেচে নেই। সেখানে যাওয়ার পর তারা আমাদের সাথে ব্যাপক খারাপ আচারণর করলে আমরা চলে আসি। তিনি আরো বলেন খুলনায় যাওয়ার সময় আমরা নওয়াপাড়ায় ছেলে-বৌমা যে বাসায় ভাড়া থাকতো সে মালিককেও নিয়ে যাই। বাসার মালিক আমাদের বলেন বৌমা তানভিরের কোন কথাই শুনতো না। সে কারণে তানভির অনেকটাই চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন। প্রায় সময়ই তাদের গোলযোগ লেগেই থাকতো। তবে তানভির অনেক ভাল ছেলে। সে কোন কথা বলতো না, বেশিরভাগ সময়ই চুপ থাকতো। শুকুর আলী বলেন সেখান থেকে আসার পর আমরা চৌগাছা থানায় যাই। সবকিছু শুনে চৌগাছা থানার ওসি আমাদের পরামর্শ দেন সোনাডাঙ্গা থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে। আমি মঙ্গলবার মেম্বারকে নিয়ে সেখানে গিয়ে জিডি করবো। স্থানীয় নারায়নপুর ইউপি মেম্বার মনিরুজ্জামান মিলন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


   আরও সংবাদ