ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন


প্রকাশ: ১৪ অগাস্ট, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন

   

স্টাফ রিপোর্টার : যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন লড়াই করেছেন। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনোই মাথা নত করেননি। নানা ধরনের জেল-জুলুম এবং অত্যাচার সহ্য করে তিনি বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি এক যুগেরও বেশি সময় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। তিনি সমগ্র বিশ্বের নিপীড়িত, শোষিত ও অধিকারবঞ্চিত মানুষের অনুপ্রেরণার এক অনিঃশেষ উৎস। 

আজ শনিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০ টায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক জাতীয় শোক দিবস-২০২০ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর মতিঝিলস্হ যুব ভবনে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি এবং বঙ্গবন্ধু বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে এক বিশেষ  আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত সকল শহীদদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট ইতিহাসের বেদনাবিধুর ও বিভীষিকাময় এক দিন। ১৯৭৫ সালের এ দিনে সংগঠিত হয় বিশ্বের ইতিহাসে সব থেকে নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। জগতে আর কোনো হত্যাকান্ডে নিষ্পাপ শিশু, অবলা অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হত্যা করা হয়নি। রেহাই দেওয়া হয়নি মেহেদি-রাঙ্গা নববধূকেও। সে সময় বিদেশে ছিলেন বলেই প্রাণে বেঁচে যান আমাদের আশার বাতিঘর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা।
 
সেদিন তারা বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই আজকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে।  বিচার হয়েছে যুদ্ধাপরাধের । কলঙ্কমুক্ত হয়েছে দেশ। আমরা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে সারা বিশ্বে আজ স্বমহিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে এখন আর bottomless basket  বা তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের রোল মডেল।  

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু রয়েছে তার আদর্শ তার কর্ম। আমরা তাঁর দেখানো পথ অনুসরন করেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারউজ্জামান কবীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব সচিব আখতার হোসেন।

এ সময়ে প্রতিমন্ত্রী যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক দিনব্যাপী স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।  

এছাড়াও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া  প্রতিমন্ত্রী সারাদেশের যুব উদ্যোক্তাদের মধ্যে ২৫ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার যুব ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক গরীব অসহায়দের মধ্যে  বিনামূল্য ৬০,০০০ হাজার মাস্ক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। শোক দিবস উপলক্ষে দুস্হ গরীব ও এতিমদের মধ্যে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবসের শুরুতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে  ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে এবং বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধু’র পরিবারের সদস্যদের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন এবং শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে শরীক হন। এ সময়ে যুব ও ক্রীড়া সচিব আখতার হোসেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ্জামান কবীরসহ মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 


   আরও সংবাদ