প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল, ২০২১ ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
ভিপি নুরুল হক নুরকে আসামি করে ইলিয়াস হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।
গতকাল রোববার (১৮ এপ্রিল) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা দায়ের করা হয় বলে আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মামলার অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গতকাল দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) নুর ফেসবুক লাইভে এসে বলেছেন, গত ১৫ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে পল্টন থানাধীন শান্তিনগর পীর সাহেবের গলিতে অবস্থানকালীন সময় ফেসবুক ডুকে দেখতে পাই ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ফেসবুক লাইভে কথা বলছেন।
সেই ভিডিওটি ডাউনলোড করে দেখতে পাই যে, নুর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে এমন আপত্তিকর, আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন, যার উল্লেখযোগ্য অংশ হলো যারা আওয়ামী লীগ করে তারা ধান্দাবাজ, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, চিটার, বাটপার, প্রকৃত কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না- ইত্যাদি উসকানিমূলক বক্তব্যসহ ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে এমন আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন।
এ ভিডিও অজ্ঞাতপরিচয় অসংখ্য ফেসবুক আইডি ও ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট ও শেয়ার করা হয়েছে। যাতে অসংখ্য সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারী লাইক ও কমেন্টের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। যার ভেতর অনেক সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কমেন্ট রয়েছে। এমন বক্তব্যে আওয়ামী সমর্থন করা মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হেনেছে। তাই মামলাটি রজু করার আবেদন করা হয়েছে। ’
বুধবারের লাইভে আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে নুর বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) মুসলমান না। তাদের কোনো বিশ্বাস নেই। একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন, তাদের কেউ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন কিনা। তারা শরিয়াহ ও সুন্নাহ অনুসারে নিজেদের জীবনযাপন করছে না। ’
এসময় তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ‘চাঁদাবাজ’, ‘মাদক চোরাকারবারি’, ‘ধোঁকাবাজ’, ‘বাটপার’ বলেছেন। ‘তারা (আওয়ামী লীগ) সপ্তাহে একদিন নামাজ পড়েন, কিন্তু কখনও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন না’ উল্লেখ করেন নুর।
লাইভে তিনি বলেন, ‘তারা ঘুষ নেয়, চাঁদাবাজি, মাদক চোরাচালান এবং টেন্ডার ব্যবসা করেন। আবার নিজেদের মুসলমানও দাবি করেন। কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগের সমর্থন করতে পারেন না। যারা আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন, তারা প্রকৃত মুসলমান নয়।