ঢাকা, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩২, ১৭ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

বাঘুটিয়া দূর্গম চর থেকে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করল র‌্যাব-৪


প্রকাশ: ২৪ মার্চ, ২০২১ ০৮:০১ পূর্বাহ্ন


বাঘুটিয়া দূর্গম চর থেকে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করল র‌্যাব-৪

স্টাফ রিপোর্টার : আশুলিয়ায় ৪ বছরের শিশু অপহরণের ২ দিন পর মানিকগঞ্জের যমুনা তীরবর্তী দূর্গম চর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৪। এসময় অপহরণকারী রাকিব সরদার (২৪) কে গ্রেফতার তারা।

আজ বুধবার (২৪ মার্চ) সকালে র‌্যাব-৪'এর অভিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

গত সোমবার নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে ২১ মার্চ বিকালে ঢাকা জেলার আশুলিয়ার দূর্গাপুর পূর্বচালা এলাকা থেকে ০৪ বছরের শিশু আসনান আদিপ অপহৃত হয়। এ ঘটনার পরের দিন অপহরণকারী শিশুটির বাবা- মার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং টাকা না দিলে অপহৃত শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিলো। 

প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গতকাল সকাল থেকে মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানাধীন বাঘুটিয়া দূর্গম চর এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে আজ অপহৃত শিশুকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অপহরণকারী রাকিব সরদার আশুলিয়ায় একটি গার্মেন্টস কারখানায় আয়রনম্যান হিসেবে কাজ করার সুবাদে মোট ০৫ মাস ভিকটিমের বাবার টিনশেড বাসার ভাড়াটিয়া ছিল এবং সে এক মাস পূর্বে সেখান থেকে চলে যায়। সে সময় থেকেই মূলত শিশুটিকে অপহরণের পরিকল্পনা করতে থাকে। 

অপহরণের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী রাকিব সরদার বিকালে ভিকটিম শিশুটিকে ঝাল মুড়ি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে আশুলিয়া থানাধীন দূর্গাপুর পূর্বচালা (তালিমুল মাদ্রাসার সাথে) এলাকায় শিশুটির নিজ বাসার গেট থেকে রিকশাযোগে জিরাবো এলাকায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাসযোগে নবীনগর হয়ে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানাধীন উথুলি এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে জাফরগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ট্রলার যোগে যমুনা নদী পার হয়ে দৌলতপুর থানার দূর্গম চর বাঘুটিয়া গ্রামে আসামীর নিজ বসতবাড়িতে আটক রাখে। 

অপহরণকারী ভিকটিমের বাবার সাথে মুক্তিপণের বিষয়ে দর-কষাকষি করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা আল আমিন এর গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলা হলেও সে আশুলিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে গত ১৩ বছর যাবত বসবাস করে আসছিলো। 

উল্লেখ্য, এলাকাটি যমুনা নদীর তীরবর্তী বালুময় এক দূর্গম চর এলাকা, যেখানে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করে না। যমুনা নদীতে প্রায় ১ ঘন্টা ট্রলারযোগে যাবার পর ১০ কিলোমিটারের অধিক বালুময় রাস্তায় কখনো পায়ে হেঁটে কখনো নৌকাযোগে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে   র‌্যাব-৪।

গ্রেফতারকুত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতেও এইরুপ শিশু অপহরণকারী চক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান হয়।


   আরও সংবাদ