ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

ধর্মের নামে বিশৃংখলা কারীদের কঠোর নজরদারি করার দায়িত্ব ইফা'কে : ধর্মপ্রতিমন্ত্রী


প্রকাশ: ২২ মার্চ, ২০২১ ০৮:১২ পূর্বাহ্ন


ধর্মের নামে বিশৃংখলা কারীদের কঠোর নজরদারি করার দায়িত্ব ইফা'কে : ধর্মপ্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও মূল্যবোধের প্রচার প্রসারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এ দেশে যাতে কোন সাম্প্রদায়িক চেতনা বিস্তার লাভ করতে না পারে সেজন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনকেই সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ধর্মের নামে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের বিষয়ে কঠোর নজরদারি করার দায়িত্বও ইসলামিক ফাউন্ডেশনকেই নিতে হবে। 

আজ সোমবার (২২ মার্চ, ) দুপুর ২.৩০ টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশ (আগারগাঁও, ঢাকা) মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাসহ ইসলামের প্রচার প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

ধর্মপ্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে জাতির চরম সংকটময় মূহুর্তে আলেম সমাজের মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা প্রেরণ, আলেম সমাজকে আর্থিক সহায়তা প্রেরণ, করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফন-কাফনের ব্যবস্থা, করোনায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের যাকাতের অর্থ প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সর্বমহলে প্রশংসা পেয়েছে এবং দেশবাসীর কাছে আরো নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। 

বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তাদের সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বের সাথে কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শের পরিপন্থি এমন কোন কাজ করা যাবে না যাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিচ্যুতি ঘটে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ  ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখে চলেছে। এ ক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিটি পদক্ষেপই অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুল ইসলাম পিএইচ.ডি বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অত্যন্ত ‌মর্যাদাপূর্ণ ও বহুমাত্রিকতায় পরিপূর্ণ কারণ এ বছর আমরা জাতির পিতার ১০১ তম জন্মবার্ষিকী, মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। এই ৪৬ তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে নিজেদের সফলতা ব্যর্থতা পরিমাপ করে আত্মোপলব্ধির মাধ্যমে আরো নতুন কর্মস্পৃহা নিয়ে কাজ করতে হবে।  
         
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে আমরা সকলে মিলে আরো অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাব - প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত ১০০ টি বইয়ের শিরোনাম সম্বলিত বুকলেটের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের ধর্ম  বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম রত্না আহমেদ এমপি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্ণর এ এফ এম ইয়াহিয়া চৌধুরী, মো: শাহজাহান সিদ্দিকী (বীর বিক্রম), মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের পরিচালক ফারুক আহম্মেদ (যুগ্মসচিব), প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক নজিবুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মোহাম্মদ আবদুল কাদের শেখ (উপ-সচিব), ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকবৃন্দ ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া  আজ সকালে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুরআনখানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়েও আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। 


   আরও সংবাদ