ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

পুলিশের নিয়োগে সংখ্যা নয় যোগ্যতা নিশ্চিত করা হবে : আইজিপি


প্রকাশ: ২২ মার্চ, ২০২১ ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন


পুলিশের নিয়োগে সংখ্যা নয় যোগ্যতা নিশ্চিত করা হবে : আইজিপি

স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের নিয়োগে সংখ্যা নয় যোগ্যতা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়ে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, এখন থেকে পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু সংখ্যা বিবেচনা করা হবে না। যোগ্যতা সবার আগে নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, নারী পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগে আলাদা নিয়োগ বিধিও করা হবে। প্রতিটা সেক্টরেই পুলিশের সেবার মান ঊর্ধ্বে থাকবে।

সোমবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে জেন্ডার রেসপন্সিব পুলিশিং: এন এপ্রোচ অফ বাংলাদেশ পুলিশ এন্ড বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

"নারী ও শিশু নিরাপত্তায় নারী পুলিশের ভূমিকা" শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় এসপি, সাব ইন্সপেক্টর সহ ৮ পুলিশ সদস্যকে দেওয়া হয় সম্মাননা পুরস্কার।

বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক (বিপিডব্লিউএন) অনুষ্ঠানে নারী পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, নারী পুলিশ অফিসার বলে হীনমন্যতায় ভোগার কোনো সুযোগ নেই। দায়িত্ব পালনে সবার আগে আপনি একজন অফিসার। 

তিনি বলেন, পুলিশকে আরো আধুনিক ও মানবিক করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একটি গণতান্ত্রিক দেশে সবার আগে পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে হয়। সবার আগে থেকেই ভূমিকা পালন করে যেতে হয় পুলিশকে। এজন্য আমি সকল অফিসারদের কে বলব সবার আগে মানবিক পুলিশ হওয়ার জন্য।

আইজিপি বলেন, এক সময় দারিদ্র্য, অসুখ, নারীরা অশিক্ষা ছিল আমাদের নিত্য সহচর। মানুষের বিভিন্ন সমস্যা ছিলো। অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। আজ দেশ কোথায় এসেছে? এ যাত্রা সহজ ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে এ উন্নয়নের পেছনে আমাদের শ্রম, ঘাম রয়েছে, প্রতিজ্ঞা, প্রত্যয় রয়েছে। দেশের মানুষ অহর্নিশ পরিশ্রম করেছে। সেই সাথে নারীরা পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমরা অনেক দূর এসেছি, আমাদের যেতে হবে বহুদূর। আমাদের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। ২০০০ সালের পরে যাদের জন্ম তারা এদেশের অনেক ইতিহাস চোখে দেখি নাই, কি মানবিক স্থায়ী ছিল! আজ কোথায় আমরা। 

আইজিপি বলেন, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় বাস্তবায়নে নারী পুরুষ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতের সম্মিলিত প্রয়াসে আমাদের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। ২০৪১ সালে ধনী দেশে পরিণত হওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে 'সোনার বাংলার' গর্বিত বন্দরে উপনীত হবে। 

তিনি বলেন, বর্তমান আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। আগে নারীদের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভাবে পিছিয়ে ছিল। সেই তুলনায় আজকের নারীরা আগামীর ভবিষ্যৎতের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে। আজ পুলিশে অসংখ্য নারী কাজ করছে। যার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ গর্বিত।

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে এদেশের দারিদ্র্যতার কঠোর রূপ দেখেছি খুব কাছ থেকে। এসব দারিদ্র্যতার বিভীষিকাময় ইতিহাস মনে পড়লে এখনও শিহরিত হই। আজ নারীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যা এক সময় ছিল খুব কঠিন কাজ। এজন্য বলি এসেছি অনেক দূর যেতে হবে বহুদূর।

এসবি'র ডিআইজি আমেনা বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে ইউএনডিপির উপ-আবাসিক প্রতিনিধি মিসেস ভ্যান এনগুইন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, এআইজি (এ এন্ড ও) ড. মইনুর রহমান চৌধুরী ঢাকা মেট্রোপলিটন কমিশনার শামীমা বেগম, বিপিডব্লুউএন'এর উপ-আবাসিক প্রতিনিধি ভান নুয়ান ও পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা সহ নারী পুলিশ সদস্যরা।


   আরও সংবাদ