প্রকাশ: ৬ মার্চ, ২০২১ ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন
নোবিপ্রবি থেকে খাদিজা খানম : 'বিশ্বের সর্বাধিক চাপের চ্যালেঞ্জগুলি সমাধান করা' - এই ধারণাটি একটি ভালো ব্যবসায় কিভাবে পরিনত করা যায় তা কি ভেবেছেন? বিশ্বাসযোগ্য হোক বা না হোক, হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন এমন একটি সংস্থা যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করে এবং প্রতি বছর এর মধ্য থেকে একটি নির্দিষ্ট সমস্যকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে উপস্থাপিত করে তা তরুণদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দিয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগীরা ব্যবসায়িক প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে এই বিশ্ব সংকট সমাধান করার জন্য চেষ্টা করে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে উন্নত এক বিশ্ব গঠনে সহায়তা করা।
হাল্ট প্রাইজ, যা জনগণের উপকারে এবং অর্থনীতির বিকাশে আহমদ আশকারের কেবল একটি স্বপ্নই ছিল, এখন তা বিশ্বের ১২১ টি দেশের ২ হাজােরের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন লক্ষাধিক তরুণের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাল্ট প্রাইজ এখন তার অনন্য উদ্দেশ্য নিয়ে নিজেই একটি প্লাটফর্ম যা প্রায় ২১ লক্ষ প্রাক্তন ছাত্র এবং ৩০ বছরের কম বয়সী উদ্যোক্তাদের নিয়ে সম্ভাব্য স্টার্ট-আপ গুলিতে ৫ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করে থাকে।
হাল্ট প্রাইজ, বাংলাদেশ বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার লোক নিয়ে দেশের এক নাম্বার স্টার্ট-আপ প্রোগ্রাম হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই যাত্রা ২০১৫ সালে বুয়েটে শুরু হয় এবং একই বছর ৩ টি ক্যাম্পাস রাউন্ডের আয়োজনও করা হয়। ২০১৭ সালে ১৯ টি ক্যাম্পাস রাউন্ড ইভেন্টের মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া লাভ করার পর ২০১৮ সালে তা হয়ে যায় ৫১ টি ক্যাম্পাস রাউন্ড। এই বছর ১০১ টি ক্যাম্পাস রাউন্ড ইভেন্ট সফলভাবে আয়োজন করে হাল্ট প্রাইজ বাংলাদেশ।
এইভাবে হাল্ট প্রাইজ বাংলাদেশ এখন বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতা, প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং বিনিয়োগকারীদের নিজস্ব সম্প্রদায় তৈরি করেছে এবং এটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মে তার সার্থকতা দেখিয়েছে যেখানে আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে ১০০ টিরও বেশি দল ছিল।
হাল্ট প্রাইজ বাংলাদেশ প্রতি বছর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী এবং তাদের যথাযথ ব্যবসায়িক কৌশলকে কাজে লাগিয়ে আরো বৃহত্তর আকারে আয়োজিত হচ্ছে এবং অবশ্যই এর পিছনে আছে তাদের একনিষ্ঠ কর্মীরা। মিঃ ফাহিম শাহরিয়ার বর্তমানে এই বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কাজ করছেন।
তিনি এশিয়া আঞ্চলিক প্রতিনিধি এবং হাল্ট প্রাইজ গ্লোবাল টিমে আছেন এবং বিভিন্ন দেশে বিশেষত এশিয়া অঞ্চলে ক্যাম্পাস প্রোগ্রাম অপারেশনগুলিকে সমর্থন করার জন্য বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরে আছেন তিনজন কমিউনিটি বিল্ডার - ইকরার ইমতিয়াজ, মোঃ ফাহিম হোসেন এবং ফাতিমা আক্তার লাভলি যারা বাংলাদেশে অন ক্যাম্পাস প্রোগ্রামকে সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।
সর্বোপরি, বাংলাদেশের অন ক্যাম্পাস প্রোগ্রামটিকে প্রশংসাযোগ্য ও বৈশিষ্ট্যময় করে তোলার পিছনে আছেন- কনটেন্ট কিউরেটর ফাবলিহা এনাম , যোগাযোগব্যবস্থা সমন্বয়কারী সকিবা তানহা এবং গ্রাফিক ডিজাইনার হিসাবে জুবায়ের জিদন যাদের সমন্বয়ে 'জাতীয় দল' অক্লান্ত পরিশ্রম করে যা্ছে।
হাল্ট প্রাইজ বাংলাদেশ বর্তমানে রিজিওনাল সামিট শুরু করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (বিইউপি) এ গতবছর প্রথম আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং এ বছর পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও রিজিওনাল সামিট আয়োজিত হতে যাছে। আশা করা হচ্ছে ২টি আঞ্চলিক সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ থেকে ৬০ টিরও বেশি টিম অংশগ্রহণ করবে।