ঢাকা, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩২, ১৭ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

কুমারিকা-প্যারাসুট'এর মোড়কে বাজার জাত হচ্ছে এটা কি!


প্রকাশ: ৪ মার্চ, ২০২১ ০৮:২১ পূর্বাহ্ন


কুমারিকা-প্যারাসুট'এর মোড়কে বাজার জাত হচ্ছে এটা কি!

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর পুরান ঢাকার আবুল হাসনাত রোডের ১৩৫/১ নম্বর আবাসিক ভবনের ৩ তলায় নুরুজ্জামান কসমেটিকস কারখানায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল কুমারিকা হেয়ার ওয়েল, প্যারাসুট বেলী ফুল, মেরিল গ্লিসারিন, ডাবর আমলা হেয়ার ওয়েল ও কিউট নারিকেল তেল উদ্ধার করে র্যাব-৩।

আজ বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে স্পাট সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩'এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু এসব তথ্য জানান।

এসময় নুরুজ্জামান কসমেটিকসের মালিক নুরুজ্জামান পলাতক থাকায় ম্যানেজার আখতার হোসেন (২০) কে ৩ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩মাসের জেল এবং এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় বাসা মালিক আরমান হোসেন (৩৮) কে ৩ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের জেলসহ মনির উদ্দিন নামের আরেক শ্রমিককে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি দেয় পলাশ কুমার বসু'র ভ্রাম্যমাণ আদালত।

র্যাব-৩'এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, পরিচিত মূলক তথ্য বিহীন ফ্রেভারা সুগন্ধি ও বিভিন্ন কালার ব্যবহার করে এই তেল তৈরি করছে। যা মাথার চুল ও স্কীনে মারাত্মক ভাবে ক্ষতি হতে পারে।

র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, এই হেয়ারিকা তেল এখানে তৈরি হলেও সেগুলো সারাদেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন পরিবহন সার্ভিসের মাধ্যমে এখানে আমরা অনেক গুলো চালান পেয়েছি যেখানে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, সাতক্ষীরা-যশোর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তারা পাঠিয়ে দিচ্ছে।

এখানে শ্রমিক জানাই, অরিজিনাল ব্রান্ডের তেল ব্যবহার করার পরে যে বোতল ফেলে দেওয়া হতো তারা এইগুলা বিভিন্নভাবে সংগ্রহ করত।

মুচলেকায় মুক্তি পাওয়া মনির হোসেন জানাই, নুরুজ্জামান কসমেটিকের মালিক এই কারখানার শ্রমিকদের কে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দিতো না এবং কারখানার নিচেই নামার অনুমতি ছিল না তাদের। কিছু শ্রমিক এসে প্রতিদিন এই প্যাকেট জাত তেল নিয়ে যেত এবং কেমিকাল গুলো তারা এনে দিত।

এই ভেজাল বিরোধী অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই এর ফিল্ড অফিসার মনির হোসেন সহ র্যাব-৩'এর সদস্যরা।


   আরও সংবাদ