প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১২:২১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বীরপ্রতীক গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, তাঁতশিল্প এবং তাঁতিদের উন্নয়ন করাই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। কোন পরিকল্পনা বা নীতিমালা প্রণয়ন করলে তাঁতিদের জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সে রূপ নীতিমালা প্রণয়ন করবে। তাঁতিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং মূলধন যোগানের কষ্ট দূর করার জন্য সরকার কাজ করেছে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার বেসিক সেন্টার পরিদর্শণকালে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার সুইটিসহ, সংশ্লিষ্ট অংশীজনগণ প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, তাঁতশিল্প বাংলাদেশের ঐতিহ্যের ধারক। এ শিল্পে প্রত্যক্ষ প্রায় ৯ লক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ৬ লক্ষ মোট ১৫ পনেরো লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বছরে ৪৭.৪৭৪ কোটি মিটার কাপড় উৎপাদনের মাধ্যমে তাঁতশিল্প দেশের মোট বস্ত্র চাহিদার প্রায় ২৮ ভাগ পূরণ করে থাকে।
তাঁতিদের চলতি মূলধনের চাহিদা মিটাতে ‘তাঁতিদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত (ডিসেম্বর, ২০২০) ৪৬ হাজার ৬৪৫ জন প্রান্তিক তাঁতিকে ৯ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু সংলগ্ন মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের জাজিরায় নির্মিত হচ্ছে শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী। সরকারের পক্ষ থেকে তাতিঁদের সুতা রংসহ বিভিন্ন কাঁচামালের সুবিধা দেয়া হবে। নির্মিত হবে আন্তর্জাতিক মানের প্রর্দশনী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
বাংলাদেশের বস্ত্রখাতের অধিকাংশ যোগান আসে তাঁত শিল্প থেকে। তাঁত শিল্প বাংলাদেশের সর্ববৃহত কুঠির শিল্প। জাতীয় অর্থনীতিতে তাঁত শিল্পের ভূমিকা অপরিসীম। সর্বশেষ তাঁত শুমারী অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদার ৪০ শতাংশ তাঁত শিল্প যোগান দিয়ে থাকে। এ শিল্পের বার্ষিক উদপাদনের পরিমাণ ৬৮.৭০ শতাংশ। আর জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজনের দিক থেকে তাঁত শিল্প খাতের অবদান ১২২৭ কোটি টাকার ।
আরও জানা গেছে, দেশে বিদ্যমান ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২টি তাঁত ইউনিটে মোট হস্তচালিত তাঁতের সংখ্যা ৫ লাখ ৫ হাজার ৫৫৬টি। এর মধ্যে চালু তাঁতের সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৫১টি।