প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১২:০১ অপরাহ্ন
বশেমুরবিপ্রবি থেকে খাদিজা জাহান : নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলের জন্য ২০% কোটা বরাদ্দ করার প্রস্তাব বৈষম্যমূলক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান প্রদত্ত ‘সুযোগের সমতা’র সাথে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে দ্রুত প্রস্তাবটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে বশেমুরবিপ্রবি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সংসদ।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) বশেমুরবিপ্রবি সংসদের দপ্তর সম্পাদক সুবর্না রায় সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার জন্য ২০% কোটা বরাদ্দ রাখার মত একটি বৈষম্যমূলক প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ মনে করে উক্ত প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারনা ও কোটা প্রবর্তণের মূল লক্ষ্যের সাথে সাংঘর্ষিক। কোটা ব্যবস্থা সংরক্ষণ করার মূল লক্ষ্য হলো সমাজের অনগ্রসর শ্রেণিকে সুবিধা দিয়ে সমতা বিধান করা। কিন্তু বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ২০% কোটা বরাদ্দ করার প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে বৈষম্য সৃষ্টি করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রথীন্দ্র নাথ বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল মিলন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বৃহত্তর ফরিদপুরের জন্য ২০% কোটা বরাদ্দ করার প্রস্তাব সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদের (সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা) সাথে সাংঘর্ষিক। উক্ত প্রস্তাব মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের শিক্ষা দর্শন পরিপন্থী।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলকে বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার চেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয় ধারণা বিরোধী কারণ এতে করে সকল শিক্ষার্থীর সমান সুযোগ নিশ্চিত করার বিধান লঙ্ঘিত হবে। তাছাড়া এই ধরনের বৈষম্যমূলক সিদ্বান্তের ফলে ভর্তি বাণিজ্যের অসৎ চর্চার পথকে মজবুত করে তুলবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ধরনের বৈষম্যমূলক আঞ্চলিক কোটা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব দ্রুত বাতিল করার উদ্যোগ নিবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ড উক্ত প্রস্তাব নাকচ করবেন। অন্যথায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের দাবি মানতে বাধ্য করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ছাত্র ইউনিয়নের দাবী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট যে কোন সিদ্বান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বশেমুরবিপ্রবি একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার জন্য ২০% কোটা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।