প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের প্রতিটি সদস্যের আন্তরিক ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার জন্য। তারা আজ সমুদ্রের প্রকৃত অভিভাবক। কোস্টগার্ড সত্যিকার অর্থেই একদিন ‘গার্ডিয়ান অব সি’ হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকা অবস্থায় তিনি সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা অনুভাব করে কোস্টগার্ড প্রতিষ্ঠার জন্য সংসদে বিল উথাপন করেন। যার ফল শ্রুতিতে আজ বাংলাদেশের সমুদ্রের অভিভাবক কোস্টগার্ড।
আজ রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ডের সদর দফতারে বাহিনীটির ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্টানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দুই যুগেরও অধিক সময় ধরে সমুদ্র বাণিজ্য ও উপকূলীয় জনগণের নিরাপত্তা বিধানে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা করোনা মহামারির সময় উপকূলীয় এলাকায় সাধারণ মানুষের জন্য যা করেছে তা প্রশংসার দাবিদার। এই বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার জন্য গত বছর এক সঙ্গে ৯ টি জাহাজ ও একটি ঘাটি কমিশন লাভ করে এবং বর্তমান সরকার এই বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বদ্ধপরিকর।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দেশের সমুদ্র সম্পাদ রক্ষায় গুরুত্বপূণ অবদান রেখেই চলেছে। জাতীয় অস্ত্র পুরস্কার-২০১৮ অর্জন ছিল এই বাহিনীর জন্য একটি মাইল ফলক। কোস্টগার্ডকে যুগ উপযোগী বাহিনী হিসাবে গড়ে তুলতে ৪ টি অফশোর প্যাট্রল ভেসেল সংযোযন করা হয়েছে। এছাড়াও খুব শ্রঘীই নিজেস্ব প্রযুক্তিতে তৈরী অত্যাধুনিক ২টি অফশোর প্যাট্রল ভেসেল (ওপিভি), একটি ফ্রোলডিং ক্রেণ, ২ টি জামবুস, ১৬ হাই স্পৃট বোর্ডসহ অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন জলযান এবং হেলিকাপ্টার যুক্ত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত কোস্টগার্ড-এর বিভিন্ন বেইজ, স্টেশান ও আউট পোস্টে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে এই বাহিনীর পরিপূর্ণ বিকাশ সুনিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে বিজিবি'র মত একটি বাহিনী করার কথা ভাবছে সরকার। এখানে আলাদা ভাবে সৈনিক নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা হবে। এতে নৌবাহিনী থেকে অফিসার নিয়ে আসা হবে।
সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচারের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে আমাদের বিজিবির ডগ স্কয়ার্ড কাজ করছে। কোস্টগার্ড উপকূল অঞ্চলে কাজ করে। তাদের জলযান রয়েছে, সেগুলো দিয়ে তারা কাজ করছে। সীমাস্তে সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে। এসব পদক্ষেপের কারণে মাদক চোরাচালন ধীরে ধীরে কমে আসছে।
অনুষ্ঠানে কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল এম আশরাফুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুযোগ্য ও যুগপোযোগী দিক নির্দেশনার ফলে এই বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এর সদস্যগণ দেশ প্রেমের চেতনা সমুন্নত রেখে তাদের অটুট মনবল, নিরলস কর্মস্পৃহা ও কঠোর প্ররিশ্রমের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক ঘোষিত রূপকল্প ২০৩০ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে মর্মে অঙ্গিকার ব্যক্ত করছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং আমন্ত্রিত সামরিক ও বেসামরিক অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোস্টগার্ড এর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, নাবিক, অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বীরত্বপূর্ণ ও সাহসী পদক পরিয়ে দেন।