প্রকাশ: ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১৯:৪৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর পল্টন, ভাটারা থানাসহ শেরপুর জেলায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’এর এক নারী সদস্য সহ ৪ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
আজ সোমবার (০১ ফেব্রয়ারি) সন্ধ্যায় র্যাব-৪'এর সদর দফতার থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃতরা হলেন- আব্দুল ওহাব সিরাতুল মুস্তাকিম হামজা বিন মুতালিব (৩০), বেলাল হোসাইন খোরশানের মুজাহিদ খোরশানের কালো পতাকা বাহিনী (২২), নাজমুল (১৭) ও ঝুমুর খাতুন রোকাইয়া হাজ্জাজ বিন মুতালিব (১৮)। এসময় তাদের কাছ থেকে ১১ টি উগ্রবাদী বই, ২১ টি লিফলেট, ১৬৭ টি জঙ্গিবাদী কথোকথনের প্রমাণাদি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করে।
আব্দুল ওহাব সিরাতুল মুস্তাকিম হামজা বিন মুতালিব (৩০)'কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য গমণ করলেও পরবর্তীতে দেশে ফিরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।
এছাড়াও ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সক্রিয় সদস্য হিসেবে সে আনসার আল ইসলাম’ এর সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি অন্যদের উদ্ধুদ্ধকরণের জন্যে অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী মতবাদ প্রচার করে আসছিলো।
বেলাল হোসাইন খোরশানের মুজাহিদ খোরশানের কালো পতাকা বাহিনী (২২) কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে পল্টনে একটি বেসরকারি চাকুরি করে এবং সে বেশ কিছু দিন যাবৎ ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সাথে জড়িত থেকে তাদের নিজস্ব ইলেকট্রনিক গ্রুপে ও অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখালেখি, ভিডিও এবং লিফলেট প্রচার করে আসছিলো।
নাজমুল (১৭) কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে শেরপুরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় উক্ত গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি বেশ কিছুদিন যাবত ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সাথে জড়িত থেকে অন্যান্যদের সাথে গোপন বৈঠকের পাশাপাশি চাঁদা ও নতুন সদস্য সংগ্রহ করে আসছিলো।
ঝুমুর খাতুন রোকাইয়া হাজ্জাজ বিন মুতালিব (১৮) কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে পেশায় একজন ছাত্রী এবং 'আনসার আল ইসলাম’ এর সাথে জড়িত থেকে অন্যান্যদের সাথে গোপন বৈঠকের পাশাপাশি চাঁদা ও নতুন সদস্য সংগ্রহ করে আসছিলো।
এছাড়াও সে পরিবারের সদস্যদের থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ৫ মাস আগে আব্দুল ওহাব এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যাবার পরিকল্পনা করছিলো বলে স্বীকারোক্তি দেয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য সহোচরদের গ্রেফতারে র্যাব এর গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।