ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

সুচি'র আটকে হোয়াইট হাউসের সতর্ক, জাতিসংঘের নিন্দা


প্রকাশ: ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১৭:০৯ অপরাহ্ন


সুচি'র আটকে হোয়াইট হাউসের সতর্ক, জাতিসংঘের নিন্দা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি)'এর নেত্রী অং সান সু চিসহ দলটির অন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের ছেড়ে দিতে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে বলেছে, সু চিসহ অন্যদের ছেড়ে না দিলে মিয়ানমারের দায়ী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

আজ সোমবার (০১ ফেব্রয়ারি) হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি এবং মিয়ানমারের সবশেষ ঘটনাপ্রবাহের বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষে তাঁর মুখপাত্র স্টেফানি দুজারিক একটি বিবৃতিতে দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

বিবৃতিতে জেন সাকি বলেছেন, মিয়ানমারের সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার যেকোনো ধরনের চেষ্টার বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তরণ বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টারও বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপগুলোর ব্যত্যয় ঘটলে মিয়ানমারের দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। দেশটির ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চিসহ দলটির অন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের আজ ভোরে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এনএলডির এক মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। একজন জেনারেলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সেনাবাহিনী আবার ক্ষমতা দখল করবে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। প্রায় পাঁচ দশক ধরে মিয়ানমারের ক্ষমতায় ছিল দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনী। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি জয় পায়। তবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে সেনাবাহিনী।

বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন পার্লামেন্ট শুরুর প্রাক্কালে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ত ও অন্য রাজনৈতিক নেতাদের আটক করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

জাতিসংঘ মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তা দেশটির গণতান্ত্রিক সংস্কারের ওপর মারাত্মক আঘাত। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের বৃহত্তর স্বার্থে দেশটির সব নেতাকে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, অর্থপূর্ণ সংলাপে বসতে হবে। সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে হবে। মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি পুরোপুরি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা দেশটির ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চিসহ তাঁর দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আজ সোমবার ভোরে গ্রেপ্তার করেছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তারা মিয়ানমারে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। একজন জেনারেলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।


   আরও সংবাদ